Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বন্দিশালার ভিড়ে ভরসা সচেতনতা

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে কোয়রান্টিন খোলার ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে কারা দফতরে।

বন্দিদের দিয়ে চলছে মুখোশ বানানোর কাজ।—ছবি পিটিআই।

বন্দিদের দিয়ে চলছে মুখোশ বানানোর কাজ।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ১০:০০
Share: Save:

মুক্ত পরিবেশে ভিড়-জমায়েত কমানো সহজ। কিন্তু লৌহকপাটের আড়ালে? যেখানে সীমিত স্থানে দণ্ডিত, বিচারাধীন বন্দিদের সহাবস্থান? রাজ্যের অধিকাংশ জেলেই স্থানাভাব। যত বন্দির থাকার কথা, প্রায় সর্বত্রই আছেন তার থেকে বেশি।

করোনার দাপটে ভিড়-জমায়েত কমাতে বলা হলেও জেলে সেটা করার উপায় নেই। তাই সতর্কতা আর সচেতনতাই ভরসা। সেই ভরসাতেই করোনা ঠেকাতে চায় কারা দফতর। প্রয়োজনে কোনও কোনও জেল হাসপাতালে কোয়রান্টিন খোলার ব্যবস্থা করতে পারে কারা দফতর।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে কোয়রান্টিন খোলার ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে কারা দফতরে। দু’-একটি জেল হাসপাতালে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও শুরু করেছেন জেল-কর্তৃপক্ষ। এত তাড়াহুড়ো কেন? জবাবে এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘সতর্ক হলে ক্ষতি কোথায়!’’ তাতেও পরিস্থিতি সামলানো না-গেলে তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট জেলের জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

বিভিন্ন জেলে জায়গার অভাব। তার মধ্যেই থাকতে হয় বন্দিদের। করোনার ক্ষেত্রে ভিড় এড়াতে বা দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিচ্ছে রাজ্য সরকারও। কিন্তু রাজ্যের জেলগুলিতে সেই নির্দেশ মানা কঠিন। কী ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর ব্যবস্থা হবে? এই প্রশ্ন ও সংশয়ের মধ্যে সতর্কতাতেই বেশি জোর দিচ্ছে কারা দফতর।

ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইউনিটকে সতর্ক করে দিয়েছেন জেল-কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে, কারও জ্বর, কাশি, গলার ভিতরে প্রদাহ, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা গেলেই তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বন্দি— সকলকেই এ কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলের কর্তৃপক্ষ। তাতে বন্দিদের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে

বলেও কারা সূত্রের খবর। কোনও বন্দির জ্বর, কাশি হলে তৎক্ষণাৎ কর্তৃপক্ষের কাছে তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে দু’-একটি জেলে কোনও কোনও বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়লেও তা সাধারণ জ্বর বলে জানান চিকিৎসকেরা। কারা দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের কোনও জেলে বন্দিদের ক্ষেত্রে করোনার উপসর্গ নজরে আসেনি।

প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিযুক্ত জেলে আসেন। পাশাপাশি বিচারাধীন বন্দিদের হাজিরার জন্য জেলের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে জানাচ্ছেন এক কারাকর্তা। এই অবস্থায় আপাতত বিচারাধীন বন্দিদের হাজিরার পরিবর্তে ভিডিয়ো-সম্মেলনে শুনানির বন্দোবস্ত করতে হবে বলে এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Inmates Pandemic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE