Advertisement
১৬ মে ২০২৪
State News

তিন কিমির মধ্যে করোনা বাঁধার দাওয়াই কেন্দ্রের

মন্ত্রকের নির্দেশ বলা হয়েছে, সংক্রমণের তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রতিদিন আশা বা স্বাস্থ্যকর্মীদের নামানো হবে।

সাবধানি: করোনা-আতঙ্কে যাত্রী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মুখে মাস্ক। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

সাবধানি: করোনা-আতঙ্কে যাত্রী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মুখে মাস্ক। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০৫:৪৫
Share: Save:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় ব্যবস্থা নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নেমেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, করোনার সংক্রমণ হলে কী করতে হবে, সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনাও রাজ্যগুলিকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যার মূল লক্ষ্য, করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিললে সর্বোচ্চ তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যেই সংক্রমণ আটকে দেওয়া।

কোথাও করোনা হলে তার পাঁচ-সাত কিলোমিটার পরিধিতে ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস বা সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম উপসর্গের সমস্ত রোগীকেই সরকারি পর্যবেক্ষণে আনতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক জানিয়েছে, এক জন আক্রান্তের সন্ধান পেলেই সেই এলাকাকে সংক্রমণের ভরকেন্দ্র ভেবে নিতে হবে। এলাকার জনবসতির চরিত্রের উপর নির্ভর করে সংক্রমণ ছড়ানোর এলাকা (কন্টেনমেন্ট জ়োন) ও সম্ভাব্য সংক্রমণের এলাকা (বাফার জ়োন) চিহ্নিত করতে হবে। এর পর নজরদার অফিসারেরা সংক্রমণ ঠেকানোর কাজে নেমে পড়বেন।

মন্ত্রকের নির্দেশ বলা হয়েছে, সংক্রমণের তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রতিদিন আশা বা স্বাস্থ্যকর্মীদের নামানো হবে। এক জন স্বাস্থ্যকর্মীর দায়িত্ব থাকবে রোজ ৩০ থেকে ৫০টি বাড়িতে গিয়ে জ্বরের খোঁজ নেওয়া। কারও জ্বরের উপসর্গ দেখা গেলেই তাঁকে বাড়িতে আলাদা ঘরে রাখা হবে। ডাক্তারেরা গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করবেন। প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।

আরও পড়ুন: সব সরকারি ফর্ম থেকেই বাদ বিতর্কিত অংশ ও শর্ত

মন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এমন প্রতিটি ব্যক্তিকে ২৮ দিন বাড়িতে নজরদারিতে রাখা হবে। স্বাস্থ্য দফতরে কন্ট্রোল রুম খুলে এঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা রোজ গিয়ে তাঁদের খোঁজ নেবেন। আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেলেই ওই এলাকায় গত ১৪ দিনে যত জ্বর বা শ্বাসকষ্টের রোগী সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের সকলের উপর নজরদারি চলবে। কন্টেনমেন্ট জ়োন বা বাফার জ়োনের প্রত্যেক সন্দেহজনক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ১৪ দিন ধরে রোজ তাঁদের পরীক্ষা হবে। তার পর পরপর দু’দিন যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবেই তাঁকে ছাড়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE