—প্রতীকী চিত্র।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কিছুদিন আগেই নেপাল সীমান্তে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। শনিবার নজরদারি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। এ দিন নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ভাবে কাজ করছেন তা দেখেন তিনি। এ দিনের এই ঝটিকা সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
এ দিন নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ভাবে কাজ করছেন তা দেখেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তে এবং এলাকার গ্রামগুলোতে পড়ে থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভাবে নজরদারি এবং সচেতনতা প্রচারের কাজ করছেন তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ দিনই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে গিয়ে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে নতুন আইশোলেশন ওয়ার্ডের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্বাস্থ্য আধির্কতা বলেন, ‘‘সীমান্তে নজরদারি চলছে। মাইকিং করা হচ্ছে। যারা প্রতিদিন সাইকেল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে নেপালে কাজে যাচ্ছেন তাঁরা দিনে দিনে ফিরেও আসছেন। তবে কোনও বিদেশি পর্যটক আসছেন কি না সেটাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে নজরদারিতে জোর দিতে বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সজাগ।’’
দেশের কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতেই সরকারের তরফে সচেতনতা এহং নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তেও নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস টার্মিনাস, স্টেশন এলাকায় নজরদারির নির্দেশ রয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে শনিবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে এমন সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। মহিলা ও পুরুষের দু’টি করে শয্যা রাখা হয়েছে। এন-৯৫ মাস্ক এবং পার্সন্যাল প্রটেকটেড ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দেওয়া হয়েছে। এ দিন স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে পরিদর্শনে ছিলেন উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy