প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ফালাকাটায় বিধানসভা উপ-নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল শাসক-বিরোধী দুই শিবিরই। তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের কথায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত প্রয়োজন ছিল।
গত অক্টোবর মাসের শেষে প্রয়াত হন ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী। যার জেরে ফালাকাটায় উপ-নির্বাচন আসন্ন হয়ে পড়ে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ফালাকাটা কেন্দ্রে বিজেপির থেকে প্রায় ২৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। ফলে উপ-নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে বিধায়কের মৃত্যুর কিছু দিন পর থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় ঘাসফুল।
অন্য দিকে লোকসভা নির্বাচনের ফল ধরে রাখতে পাল্টা প্রস্তুতিতে নামে বিজেপিও। তবে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সম্প্রতি উপ-নির্বাচনের প্রচার থেকে শুরু করে জেলায় যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতারা। ফালাকাটায় বড় জমায়েত বন্ধ রেখেছে তৃণমূলও। তবে বিভিন্ন বুথে ছোট ছোট সভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
কিন্তু যে জন্য এই প্রস্তুতি, সেই উপ নির্বাচনই যে এই মুহূর্তে হবে না— শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেই খবর পৌঁছে যায় ফালাকাটায়। যদিও ফালাকাটার বিডিও সুপ্রতীক মজুমদার বলেন, ‘‘বিষয়টি টিভিতে দেখেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কমিশনের থেকে লিখিত কোনও বার্তা আমি পাইনি।’’
ফালাকাটায় উপ-নির্বাচন স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন শাসক-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল। তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সন্তোষ বর্মণ বলেন, ‘‘উপ-নির্বাচন নিয়ে বিধানসভা এলাকার প্রতিটি জায়গায় নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। আচমকা এই সিদ্ধান্তে সেই প্রস্তুতির কাজে খানিকটা ছন্দপতন ঘটবে। পরবর্তীতে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হবে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত ভাল।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে আগে দেশ, পরে রাজনীতি। তাই দেশের মানুষের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy