প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সংশোধনাগারে সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। তাতে সংযোজিত হল পুরুলিয়া ও সিউড়ি জেলা সংশোধনাগার। পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে ছয় কারারক্ষী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আর সিউড়িতে এক বন্দি ঘুমের মধ্যে বুধবার মারা যান। পরবর্তীতে ওই বন্দির নমুনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তবে সিউড়ি সংশোধনাগারে দিন গুজরান করা বন্দির কোনও উপসর্গ ছিল না। তাই তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ হলেও মৃত্যু হৃদরোগে হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও কাটাছেঁড়া চলছে কারা দফতরে। তাই এ নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ কারা দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, ময়নাতদন্তের পরে বোঝা যাবে, কী কারণে ওই বন্দির হঠাৎ মৃত্যু হল।
জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষ লগ্নে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক বন্দি সংক্রমিত হন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে সংশোধনাগারের কর্মী, আধিকারিক এবং বন্দিদের মধ্যে করোনার প্রভাব বাড়তে থাকে। আক্রান্ত হতে থাকেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হুগলি জেলা সংশোধনাগারে থাকা এক বর্ষীয়ান বন্দির মৃত্যু হয়। তারপর সিউড়ির মৃত বন্দির উপসর্গ না থাকলেও রিপোর্ট পজ়িটিভ। যা চিন্তার উদ্রেক ঘটিয়েছে কারা দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে। পাশাপাশি, পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারের কর্তব্যরত সংক্রমিত ছয় কারারক্ষীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে খবর। তবে তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানাচ্ছে কারা দফতর। কয়েকদিন আগে করোনা আক্রান্ত হওয়া সিউড়ি সংশোধনাগারের ৩৬ জন বন্দির শারীরিক পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নতুন করে চিন্তা বাড়ায়নি দফতরের।
সংশোধনাগারে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আর কোনও পরিকল্পনা করা যায় কি না, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে কারা দফতরে। তবে করোনা পর্বের শুরু থেকে বিধি মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কোনও গাফিলতি হয়নি বলে দাবি করছেন দফতরের আধিকারিকরা।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy