ঘাটাল আদালতে আনা হচ্ছে ট্রাঙ্কভর্তি ভারতীয় গয়না। —ফাইল ছবি
রকমারি আংটি, হার, চুড়ি। সবই সোনার। যা দেখে চোখ ছানাবড়া সোনার ব্যবসায়ীদেরও। দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের মাদুরদহের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত টাকা-সোনা মঙ্গলবার ঘাটাল আদালতে জমা করে সিআইডি। সোনা পরখ করার জন্য সিআইডি কিছু পুরনো সোনার ব্যবসায়ীকে ডেকেছিল। সোনার সম্ভার দেখে তাঁদেরই কয়েক জন বললেন, ‘‘এত দিন ব্যবসা করছি। এত রকমারি ও এতটা সোনা জম্মে দেখিনি।”
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়েছিল যন্ত্রের সাহায্যে টাকা গোনা। রাত তখন ১১টা। টাকা গোনার কাজ শেষ হতে হাঁফ ছাড়লেন সিআইডি কর্তারা। গোনা শুরু হয়েছিল দু’হাজার টাকা দিয়ে। তার পর পাঁচশো আর একশো। দিনের শেষে মোট টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ছ’কোটি। সিআইডি জানিয়েছে, ভারতী ছাড়াও দাসপুর সোনা প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত ঘাটালের প্রাক্তন সিআই শুভঙ্কর দে ও দাসপুর থানার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ রথ-সহ অন্য পুলিশ অফিসারদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাও ছিল।
টাকা গোনা শেষ হতেই শুরু হয় সোনার হিসেব। সিল করা ট্রাঙ্ক থেকে এক এক করে বার করা হয় অ্যাটাচি। সেখানেই নানা আধুনিক বাক্সে ছিল সোনার গয়না। সোনা ব্যবসায়ীরা সে সব গয়না যাচাই করে দেখার পর তা ওজন করা হয়। বুধবার ঘাটাল আদালতের এক কর্মী বললেন, “আদালতের চাকরি জীবনে এখন পর্যন্ত সেরা দিনটা ছিল মঙ্গলবার। কোটি কোটি টাকা, এত সোনার গয়না তো দেখতে পেলাম! ছিল নানা দেবতার মূর্তিও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy