সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং রোজ ভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর কাছ থেকে একাধিক ‘প্রভাবশালী’ নগদে কয়েকশো কোটি টাকা নিয়েছেন বলে লিখিত বয়ান জমা পড়েছিল সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, সেই টাকার বড় অংশ রাজ্যের প্রাক্তন এক সাংসদের মাধ্যমে হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই প্রাক্তন সাংসদ তথা ব্যবসায়ীকে সিবিআই শীঘ্রই ডাকতে পারে বলে খবর।
কোন কোন ‘প্রভাবশালী’ সুদীপ্ত ও গৌতমের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তৈরি হয়েছে তার তালিকাও। সিবিআইয়ের এক আধিকারিকের দাবি, ওই তালিকায় শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম রয়েছে। ওই বিপুল টাকার উৎসও এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আয়কর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর।
সিবিআইয়ের দাবি, সুদীপ্ত ও গৌতম যে সব ‘প্রভাবশালী’র নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে ওই প্রাক্তন সাংসদের ‘ঘনিষ্ঠতা’র প্রামাণ্য নথি তাদের কাছে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, ওই সব প্রভাবশালীর টাকা একত্র করে প্রায় ৩৪৫ কোটি কালো টাকা ওই প্রাক্তন সাংসদকে দেওয়া হয়েছিল। কর-জরিমানা দিয়ে হিসেব বহির্ভূত টাকা সাদা করার একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে ওই প্রাক্তন সাংসদ ৩৪৫ কোটির বড় অংশ সাদা করেন। এবং ওই টাকা হাওয়ালা মারফত পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি ব্যাঙ্কে জমা দেন। ওই ব্যাঙ্কগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন দেখছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে বৈধ করে নেওয়া অর্থ কেনই বা হাওয়ালায় বিদেশের ব্যাঙ্কে পাঠালেন প্রাক্তন সাংসদ?
আরও পড়ুন: সারদার ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’ দেবযানী এখন জেলের দিদিমণি
তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, প্রাক্তন ওই সাংসদ ২০১৩ সালের পর থেকে অধিকাংশ সময় পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশে থাকছেন এবং ব্যবসা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে আরও দাবি, ওই সাংসদের পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সারদার প্রায় কয়েক কোটি টাকা গিয়েছিল বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন সুদীপ্ত। সারদার টাকা কী ভাবে, কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে সুদীপ্তের সঙ্গে বৈঠকও করেন ওই প্রাক্তন সাংসদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy