অপরাধের তদন্ত কী ভাবে হওয়া উচিত, রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদের তার রূপরেখা তৈরি করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তে গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বছর দুই আগে বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় এক ছাত্রীর মৃত্যুর জেরে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ৮ মার্চ সন্ধ্যায় মধুপর্ণা ভট্টাচার্য নামে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই ছাত্রী পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি তাঁর বন্ধু, হাওড়ার বাসিন্দা আকাশ আসোফার মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ডানলপ থেকে বিটি রোড ধরে উত্তরের দিকে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, অজ্ঞাতপরিচয় কোনও গাড়ির ধাক্কায় আকাশ ও মধুপর্ণা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ছাত্রীটি গুরুতর চোট পান। আহত হন আকাশও। কিন্তু পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে ছাত্রীর বাবা হাইকোর্টে মামলা করেন।
তাঁর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, মামলাটি বছর দুয়েক আগে শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে। তিনি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ দল তৈরি করে ঘটনার তদন্ত করতে নির্দেশ দেন এবং আদালতে রিপোর্টও পেশ করতে বলেছিলেন।
ইতিমধ্যে মামলাটি স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি মান্থার আদালতে। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী শুভব্রত দত্ত রিপোর্ট পেশ করে জানান, আকাশের বেপরোয়া, নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বিশেষ দল জানিয়েছে। ব্যারাকপুর আদালতে মামলার চার্জশিটও পেশ হয়েছে। রিপোর্ট পড়ে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, ‘‘কোনও কোনও ক্ষেত্রে তদন্ত ঢিলেঢালা হয়। তদন্তকারী ঠিকমতো তদন্ত না করলে রাজ্যেরই মুখ পুড়বে।’’ তার পরেই পুলিশকে ওই নির্দেশ দেন তিনি। মামলারটিরও নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy