অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
টাকা দিয়েছি। এ বার ভোট দাও।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থসাহায্য পাওয়া পরিবারগুলির কাছে এই কথা বলতে দলের যুব মোর্চাকে পৌঁছে যেতে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। গত ২৬, ২৭ এবং ২৮ অক্টোবর হায়দরাবাদে যুব মোর্চার সম্মেলনে শাহের নির্দেশ, দেশের ২২ কোটি এমন পরিবারের কাছে পৌঁছে দলীয় কর্মীদের ভোট চাইতে হবে। মূলত যুব মোর্চাকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে শাহের নির্দেশ এ রাজ্যে মোর্চা নেতৃত্ব কতটা পালন করতে পারবেন, তা নিয়ে কার্যত বিতর্ক তৈরি হয়েছে দলের ভিতরেই।
যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকারের দাবি, ‘‘কালী পুজোর পর থেকেই আমরা কাজে নেমে পড়ব। এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট কমিটিও তৈরি করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলার সময় যদি তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে হয়, তা হলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।’’ তবে মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে এই কাজ সহজ হবে না দু’টি কারণে। এক, তৃণমূলের বাধা এবং দুই, যুব মোর্চার সংগঠনের অভাব। তবে দেবজিতের দাবি, ব্লক স্তর পর্যন্ত তাঁদের সংগঠন তৈরি আছে। বুথ স্তরেও তা ছড়িয়ে পড়বে।
যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ সিকদারের বক্তব্য, ‘‘এই কাজের জন্য আলাদা কল সেন্টার হবে বলে অমিতজি জানিয়েছেন। প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে একটি মিসড কল দিতে হবে কল সেন্টারে। অর্থাৎ, ফাঁকি দেওয়ার উপায় নেই। কেন্দ্র কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে।’’ সূত্রের খবর, পরিবারের সঙ্গে কর্মীদের কথা বলার ভিডিও নমো অ্যাপে আপলোড করার নির্দেশও দিয়েছেন শাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy