সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়া শিলচরে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের কোনও কাজ করা যাবে না। ছাড়পত্র ছাড়াই ৪২ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলার কড়া সমালোচনা করে এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকারি তরফে দাবি করা হয়, চা চাষের নিয়মমাফিক প্রক্রিয়াতেই কিছু গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। শীর্ষ আদালত ওই যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এ-ও জানিয়ে দিয়েছে, পরিবেশ সংক্রান্ত ওই ছাড়পত্র হতে হবে গাছ কাটার আগের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে।
আগে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছিল, যেহেতু পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র এখনও বাকি, তাই এখনই এই মামলা বিচার্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট এই প্রেক্ষিতে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের কর্তব্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। ট্রাইব্যুনালের রায় খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ধরনের কাজে আগেই পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক।
‘ফোরাম ফর সোশাল হারমনি’র কলকাতা শাখা এবং কলকাতার দু’টি সংগঠন ‘শান্তি গণতন্ত্র ও সংহতি’ এবং ‘সমাজ ও প্রকৃতি পরিচয় পত্রিকা’র আপিল মামলাতেই চূড়ান্ত শুনানির পরে রায় ঘোষিত হয়। ফোরাম ফর সোশাল হারমনি এবং অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের মতে, এই রায় শ্রমিকদের আপসহীন লড়াইয়ের ফসল। শ্রমিকদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে, ১৪৪ ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে বুলডোজ়ার লাগিয়ে ২০২২ সালের ১২ মে থেকে তিন দিন ধরে অসমের কাছাড় জেলার ডলু টি এস্টেটের প্রায় ৪২ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। কাটা হয়েছিল প্রচুর ছায়াতরুও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy