Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Kanthi

ফের তৃণমূল নেতা খুন! কাঁথির নিখোঁজ নেতার দেহ মিলল রাস্তার ধারে

গোটা ঘটনায় শুরু থেকেই স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছিলেন রিতেশ রায়ের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।

রিতেশ রায়।—নিজস্ব চিত্র

রিতেশ রায়।—নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মারিশদা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৭:৪৩
Share: Save:

বন্ধুর ফোন পেয়ে বেরিয়েছিলেন। আর বাড়ি ফেরা হল না রিতেশ রায়ের। কাঁথি ৩ নং ব্লকের দুরমুঠ এলাকার চাঁদবেড়িয়া বুথের তৃণমূল সভাপতি তিনি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি হুগলির দাদপুরের তালচিলান ১৯ নং রোডের ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তবে দেহ শনাক্ত করা গেল শনিবার সকালে। স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরাই তৃণমূল নেতাকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। তবে এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে আটক করা হয়নি।

শনিবার রাতেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস। তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তার মধ্যে আরও এক তৃণমূল নেতার রহস্য মৃত্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদপুরের তালচিলান ১৯ নং রোডের ধার থেকে রিতেশ রায়ের দেহ তুলে জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের সময় তাঁর গলায় একাধিক ফাঁসের দাগ ছিল। সারা শরীরে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। তবে মেলেনি কোনও ফোন বা পরিচয়পত্র। দেহ শনাক্ত করতে তাই রাজ্যের সমস্ত থানায় মৃতদেহের ছবি পাঠানো হয়। যার ভিত্তিতে তাঁকে শনাক্ত করেন মারিশদা থানা। সোমবার সকালে চুঁচুড়া পৌঁছন রিতেশ রায়ের ছেলে অঙ্কিত রায় ও শ্যালক। মর্গে গিয়ে তাঁরাই দেহ শনাক্ত করেন।

আরও পড়ুন: রোড শোয়ে ঝড় তুললেন প্রিয়ঙ্কা, কাতারে কাতারে মানুষের স্লোগান-পুষ্পবৃষ্টিতে ছেয়ে গেল লখনউ​

আরও পড়ুন: দুর্নীতি বিরোধী শর্তই বাদ দেওয়া হয়েছিল! রাফাল নিয়ে ফের বিপাকে মোদী সরকার​

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন পেয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হন্দদন্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রিতেশবাবু। পরে ফোন করে জানান, ওই বন্ধুর বাবা অসুস্থ। তাঁকে নিয়ে মালদহ যাচ্ছেন। কিন্তু তার পর আর একটাও ফোন আসেনি। মোবাইল ফোনও সুইচ অফ হয়ে যায়। টানা দুদিন তিনি বাড়ি না ফেরায়, শনিবার মারিশদা থানায় হাজির হন তাঁর স্ত্রী মহুয়া রায়। স্বামী নিখোঁজ বলে অভিযোগ দায়ের করেন।

গোটা ঘটনায় শুরু থেকেই স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছিলেন রিতেশ রায়ের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা। তাঁরা জানান, গত ২৯ জানুয়ারি কাঁথিতে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাড়ি তাঁদের। ওইদিন সভার পর চাঁদবেড়িয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে চড়াও হয় বিজেপি সমর্থকরা। ভাঙচুর চালায়। ঘটনার সময় পার্টি অফিসেই ছিলেন রিতেশ। বাধা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই রাগ থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়।

সবকিছু জানতে পেরে বিজেপির উপর দোষ চাপানপূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাও। তিনি বলেন, “২৯ তারিখ বিজেপির কর্মীরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙার সময় রিতেশ বাধা দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার বদলা নিতেই তাঁকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে হয়েছে বলে আমার ধারণা।’’ পুলিশের তরফে যদিও এ নিয়ে মন্তব্য করা হয়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Kanthi TMC Leader Trinamool BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE