শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়।
প্রধান প্রতিপক্ষ দুই দলের চাপানউতোর চলছিলই। রেলশহরের উপ-নির্বাচনের রবিবাসরীয় প্রচারে ফের জমে উঠল বিজেপি-তৃণমূল তরজা। প্রচারে এসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় পুরনো সতীর্থকে খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘‘শুভেন্দু যেখানে দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানেই তৃণমূলের প্রার্থী হেরেছেন। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে হেরেছে তৃণমূল। খড়্গপুরে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানেও হার নিশ্চিত।’’ সভার ফাঁকে শুভেন্দুকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিবহণ মন্ত্রী অবশ্য পাল্টা সুর চড়াননি। বলেছেন, ‘‘উনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেই পারেন। উনি বিজেপির বড় নেতা।’’
খড়্গপুর সদর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে এ দিন শহরে এসেছিলেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন খড়্গপুরের ৩২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সভায় যোগ দেন তিনি। একই সময়ে শহরে এসে পদযাত্রায় যোগ দেন একদা তৃণমূলের চাণক্য তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল। এ দিন তিনি খড়্গপুরের গ্রামীণ এলাকার সাদাতপুর থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এর পরে ১১, ১৪, ১০, ১৭ ও ১৯ হয়ে খরিদায় শেষ হয় বিজেপির ওই পদযাত্রা।
এ দিন সভামঞ্চে অবশ্য মুকুলের দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু। বিধায়ক থাকাকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কোনও কাজ করেনি বলে অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপি ও বিরোধীরা চাইছে এই উপ-নির্বাচনে পুরসভার প্রসঙ্গকে সামনে আনতে। সেটা আগামী বছর ২০২০ সালে আলোচনা হবে। আমাদের পুরসভা ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে সব কাজ শেষ করে বাড়ি-বাড়ি যাবে। এই উপ-নির্বাচন হোক দিলীপ ঘোষের কাজের নিরিখে।’’
সাংসদ হয়েও দিলীপ ঘোষ খড়্গপুরে কথা সংসদে বলেননি বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। পরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘ধর্ম-জাতপাত নিয়ে আমরা ভোট চাই না। আমরা ভোট চাই উন্নয়ন নিয়ে। ধর্ম নিয়ে ওরা (বিজেপি) ভোট চাইছে।’’ শুধু বিজেপি নয়, জোটকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে ঘুরছে। বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে।’’
এ দিনই শহরের ইন্দায় কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের সমর্থনে এক সভায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, ‘‘অপদার্থের মতো কথা। শুভেন্দু অধিকারী এমন কথাই বলতে পারেন। সবাই জানে বিজেপিকে এই রাজ্যে কারা এনেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy