Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

সভায় গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কথা তুললেন না অমিত

এ দিন বক্তৃতার সময়ই কালিম্পংয়ের ডক্টর গ্রাহামস হোম স্কুলের পাশের মাঠে ভিড়ের মধ্যে থেকে গুরুং এবং গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে স্লোগান উঠতে শুরু করে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালিম্পং শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪৯
Share: Save:

গোর্খাল্যান্ড বা আলাদা রাজ্যের কথা একটি বারের জন্যও এল না। সরাসরি নাম করলেন না বিমল গুরুংয়ের। বরং বৃহস্পতিবার কালিম্পংয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ একাধিক বার টেনে আনলেন সুবাস ঘিসিং-এর প্রসঙ্গ। জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিংকে কাছে টেনে দুই হাত বাড়িয়ে করমর্দনও করলেন।

এ দিন বক্তৃতার সময়ই কালিম্পংয়ের ডক্টর গ্রাহামস হোম স্কুলের পাশের মাঠে ভিড়ের মধ্যে থেকে গুরুং এবং গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে স্লোগান উঠতে শুরু করে। তাতে কার্যত কোনও আমলই দিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তার বদলে ১১ উপজাতির তফসিলি জনজাতির স্বীকৃতি, চা শ্রমিকদের অসমের মতো নানা প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা বলেন। তারপরে পুলওয়ামা, সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এনআরসি, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর দাবি তুলে বক্তব্য শেষ করে দিলেন।

বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের মতো পাহাড় ছাড়া নেতাদের নাম না করলেও তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে আমার অনেক গোর্খাদের সঙ্গে কথা হয়। ওদের চোখে বেদনা দেথি। আজ না হোক ওদের সঙ্গে একসময় ন্যায় হবেই। পাহাড়ে ছেড়েছেন এমন পরিবারের পাশে বিজেপি পাথরের মত দাঁড়িয়ে থাকবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিজেপি এ বারের নির্বাচনী ইস্তাহারেও গোর্খাল্যান্ড বা গোর্খাদের জন্য আলাদা রাজ্যের কথা উল্লেখ করেনি। তা নিয়ে পাহাড়ের কিছু এলাকায় প্রতিক্রিয়াও হয়, কারণ আগের বার ইস্তাহারে পৃথক রাজ্যের কথা ছিল। তাই এ বার খোদ অমিত প্রচারে আসায়, তিনি এ প্রসঙ্গে কী বলেন তার দিকে পাহাড় তাকিয়ে ছিল। এ দিন বিজেপি সভাপতি বললেন, ‘‘রাজ্যে দিদিকে এ বার ভোটে হারাতে পারলে, দিদির অত্যাচার, অপশাসন শেষ করতে পারলেই পাহাড় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

এ দিনই দার্জিলিংয়ের চকবাজারে নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিমল গুরুংয়ের ইতিহাস শেষ হয়েছে। যে সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন, তাতে কাজ করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা তিনি করেননি। এখনও যারা বিমলের সঙ্গে আছেন, তাঁরা আমার শত্রু নন। আমি আপনাদের ভাই, বোনের মতো দেখি। তাই বলছি ওদের সাহায্য করবেন না। তাঁরা দার্জিলিংয়ের ভাই, বোনদের ভালোবাসেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE