রামচন্দ্র ডোম। —নিজস্ব চিত্র।
নবম বারের জন্য রামচন্দ্র ডোমকে বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করল বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের পক্ষে প্রথমে যে ২৫ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। মঙ্গলবার বোলপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্যের নাম জানিয়ে দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
সিপিএম সূত্রের খবর, ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি রামচন্দ্র ডোমের। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরে ১৯৭৬ সাল থেকে ডাক্তারি পড়া শুরু। ডাক্তারি পড়া শেষ করার পরে ১৯৮৬ সালে রামপুরহাটের মাড়গ্রাম গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে পার্টির নির্দেশেই চাকরি ছেড়ে সেই বছরই প্রথম বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রথম নির্বাচনেই জয়ী হন। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর ছয়বার ১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে বীরভূম লোকসভা আসনটি সাধারণ আসন হয়ে যায়। সেই সময় সংরক্ষিত বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্টের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রামচন্দ্র ডোম। এই ভোটেই বোলপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অনুপম হাজরার কাছে পরাজিত হন। রামচন্দ্রবাবুর অবশ্য বারবরের দাবি, ‘‘সেই সময় লুঠের ভোট হয়েছিল। সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্র প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। তাই পরাজয় হয়েছিল।’’ আর এ বার? তাঁর জবাব, ‘‘জয়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি আছে। অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে মানুষ সদর্থক মতামত প্রকাশ করবেনই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। বামফ্রন্ট প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৮১ ভোট। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট প্রার্থী ছিলেন অসিত মাল। সে বার সিপিএমের রামচন্দ্র ডোমের কাছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৮২ ভোটে পরাজিত হন অসিত মাল।
এ বার কী হবে? অসিতবাবুর কথায়, ‘‘রাজ্যে বামদের অস্তিত্ব নেই। বোলপুরেও একই অবস্থা। এই ভোটের পরে বিরোধী বিশেষ করে বামেদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy