Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শীর্ষে দিলীপ, মুক্ত মানস 

আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মনোনয়নের সঙ্গে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, দিলীপের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১৪টি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০০:১৫
Share: Save:

ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন। আর তার মধ্যে ৪ জনের নামেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ, হিসেব মতো মেদিনীপুরের ৪৪ শতাংশ প্রার্থীই ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত।

আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মনোনয়নের সঙ্গে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে দেখা যাচ্ছে, দিলীপের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ১৪টি। তালিকায় দ্বিতীয় সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট। বিপ্লবের বিরুদ্ধে ৩টি অপরাধের মামলা রয়েছে। কংগ্রেসের শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ২টি অপরাধ মামলা রয়েছে। বিএসপির রামকৃষ্ণ সরকারের বিরুদ্ধে ১টি অপরাধ মামলা রয়েছে। বাকি ৫ জন প্রার্থী যথাক্রমে তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া, এসইউসির তুষার জানা, আমরা বাঙালির রবীন্দ্রনাথ বেরা, শিবসেনার অশোক সরকার এবং নির্দল প্রার্থী তাপস করের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই।

বছর তিনেক আগে সবংয়ে এক তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল মানস ভুঁইয়ার। পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। অন্য দিকে দিলীপের বিরুদ্ধে যে ১৪টি ফৌজদারি মামলা ঝুলে রয়েছে, সেগুলো সবই ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যের। আর মামলাগুলো হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কলকাতা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের। খড়্গপুরের বিধায়ক দিলীপ বলছেন, ‘‘মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা করেছে তৃণমূল সরকার।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নিয়ম অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা থাকলে তা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হয় প্রার্থীদের। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী যদি রাজনৈতিক দলের প্রতীকে লড়েন, তবে মামলার কথা দলকেও মানুষের সামনে আনতে হবে। এমনই নির্দেশ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তবে এমন বিজ্ঞাপন তেমন চোখে পড়ছে না অনেকেরই। রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্য দাবি, এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন যথাযথভাবেই সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলে দেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে তুলনামূলক কম প্রচারিত সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তুলনামূলক কম প্রচারিত সংবাদপত্র বা টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিলে সেটা অনেক কম মানুষের কাছে পৌঁছবে। আদতে প্রার্থীর ‘অপরাধে’র কথা জানতে পারবেন কম সংখ্যক মানুষ। খুব ‘সচেতন’ ভাবে সেটাই করছে রাজনৈতিক দলগুলো।

ফৌজদারি মামলা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোরও। বিজেপিকে বিঁধে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘দাদাগিরি, গুন্ডাগিরি করলে মামলা তো থাকবেই। বিজেপির প্রার্থীর নামে তাই এত মামলা রয়েছে।’’ জবাবে তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ বলেন, ‘‘তৃণমূল করলে সাত খুন মাফ। ওদের প্রার্থীর ক্ষেত্রে তো তাই হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Dilip Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE