—ফাইল চিত্র।
ভোটে নির্বাচন কমিশনই নিয়ন্ত্রক। সেই কমিশন কিন্তু রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে এই অভিযোগ জানান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, ডেরেক ও’ব্রায়েন, তাপস রায়।
রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য ডেরেক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হচ্ছে, ভাল কথা। কিন্তু তামাশা হচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করছি।’’ শোভনদেবের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ফলে গোলমাল হচ্ছে। তাতেই মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। গোটা প্রক্রিয়া বিষাক্ত। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূল যখন এ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, সেই সময়েই আগামী রবিবারের ভোটে ন’টি কেন্দ্রে একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য বিজেপির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনী আধিকারিকদের গাড়িতে করে টাকা বিলি করছে তৃণমূল। এখানকার কমিশনের অফিস তৃণমূলের দফতরে পরিণত হয়েছে। এক জেলাশাসক তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন।’’ সব বুথে বাহিনী মোতায়েনের দাবি নিয়ে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা এ দিন সন্ধ্যায় কিছু ক্ষণের জন্য সিইও দফতরের সামনে অবস্থান করেন।
সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কমিশন ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভোটের পরে বাঁকুড়ার জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কমিশনের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে সিপিএম এবং বিজেপি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এ দিন উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy