তাঁর কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের আর বাকি মোটে ১৮ দিন। কিন্তু এখন থেকেই দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা লড়াইটাকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। তাঁর কথায়, শুধু এই ভোটই নয়, বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁর লক্ষ্য দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা সাতটি বিধানসভা আসন জিতে নেওয়া। তাঁর এই কথাকে উড়িয়ে দিয়ে বিনয় তামাংয়ের কটাক্ষ, আগে তো উনি এ বারের ভোট জিতে দেখান!
রাজু বিস্তার কথায়, ‘‘এ বারের ভোটে ধরে নিন আমরা জিতে গিয়েছি। তাই আমি আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে সাতটি বিধানসভা আসন রয়েছে, সেগুলিও আমরা ওই ভোটে জিততে চাই।’’
পাহাড়ে এত দিন বিমল গুরুংয়ের জোরে লোকসভা ভোট জিতে এসেছে বিজেপি। ২০১৪ সালে অবিভক্ত মোর্চার সেই জোরেই সমতলেও তারা প্রভাব বিস্তার করেছিল। যদিও ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে আসন সমঝোতা হওয়ার পরে তাতে ভাটা পড়ে। চোপড়া আসনটিতে আবার জিতে নেয় তৃণমূল।
পাহাড়-সমতল দুই এলাকার রাজনৈতিক লোকজনেরা বলছেন, লোকসভা ভোটের সময় থেকে পরবর্তী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া দূরদৃষ্টির লক্ষণ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিনয় তামাং বিস্তাকে কটাক্ষ করেই বলেছেন, ‘‘উনি আগে এই এলাকাটাকে ভাল ভাবে জানুন। চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্র সম্পর্কে কিছু জানা আছে ওঁর? শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র সম্পর্কে উনি কতটুকু জানেন?’’
সমতলের রাজনীতিকরা বলছেন, বিজেপি আসলে দু’টি কারণে এই প্রচার চালাচ্ছে। প্রথমত, এই ভাবে তারা শাসকদল তৃণমূলের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে। বলা যেতে পারে এটা চাপের নতুন কৌশল। কারও কারও কথায়, ফুটবলে মাঝমাঠে লোক বাড়িয়ে খেলা ধরার যে কৌশল, এটা কতকটা তারই মতো। তাদের কথায়, লোকসভা ভোটের সময়ে বিধানসভা এলাকায় সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজ জোরকদমে হয় ঠিকই, কিন্তু তাতে লক্ষ্য থাকে ঘাড়ের উপরে এসে পড়া নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, এই ভাবে বিজেপি নিজেদের কর্মীদের বার্তা দিতে চাইছে, তারা যেন এই ভোট শেষ হলেই বসে না পড়ে পরের ভোটের জন্য তৈরি হতে শুরু করেন।
তৃণমূলের দার্জিলিঙের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস অবশ্য বিস্তার কথাকে আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘যিনি এই এলাকার মানুষ সম্পর্কে কিছু জানেন না, তাঁর কথার কোনও জবাব দেব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy