প্রতীকী ছবি।
বিরোধীপক্ষ হামলা চালাতে আসছে ভেবে ‘ভুল করে’ পুলিশের উপর গুলি চালিয়েছিল কেদার সর্দার। সন্দেশখালির খুলনার পোলপাড়ায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ‘ভিলেজ পুলিশ’ বিশ্বজিৎ মাইতির মৃত্যুর পর এলাকার তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী কেদার পুলিশের কাছে এমনটাই জানিয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
গত শুক্রবার জলসায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ে তৃণমূল কর্মী সইফুদ্দিন শেখ ও বিনোদ হাউলিকে কোপায় কেদার ও দলবল। রাত ৯টা নাগাদ কেদার ও তার সঙ্গীরা পোলপাড়ার কলাগাছি নদীর পাশে রজনী চৌকিদারের খেয়াঘাটে তাদের ঘাঁটিতে চলে আসে। সেখানে তারা মদ খায়। পরে শুরু করে জুয়া খেলা। হাঙ্গামার সময়ে সেখানে থাকা বিশ্বজিৎ মাইতি মোবাইল ফোনে ঘটনাটি সন্দেশখালি থানায় জানান। কেদারকে ধরতে তাই তাড়াহুড়ো করে কয়েকজন পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ নদী পেরিয়ে মোটরবাইকে রওনা দেন। তাঁদের অনেকেই সাদা পোশাকে ছিলেন বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন।
পুলিশের কাছে কেদার জানিয়েছে, রাত ১১টা নাগাদ খুলনার দিক থেকে ৪টি মোটরবাইক আসতে দেখে তাদের মনে হয়েছিল পাল্টা হামলা চালাতে আসছে বিরোধীপক্ষ। তাই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। বিশ্বজিতের বাইকের পিছনে বসেছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর অরিন্দম হালদার। গুলি লাগতেই তিনি বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। গুলি লাগে বিশ্বজিৎ এবং বাবুসোনা সিংহের গায়ে। এর মধ্যেই দলবল নিয়ে পালায় কেদার।
আরও পড়ুন: ডাইনোসর নাকি! কঙ্কাল ঘিরে চাঞ্চল্য আমডাঙায়
বিশ্বজিতের মায়ের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। কলকাতার নার্সিংহোমে আনা হলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy