Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
politics

‘এখানে আমরা বাঘের বাচ্চারা বসে আছি’, মেয়ো রোড থেকে হুঙ্কার মমতার

প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কী বার্তা দিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বিজেপি-র বিরুদ্ধে নয়া কোনও কৌশল শানিয়ে নিলেন কি?

ছাত্র সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ দিন ছাত্র রাজনীতির পুরনো প্রজন্মকে নিয়েও স্মৃতি চারণ করেন মমতা। ছবি: পিটিআই।

ছাত্র সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ দিন ছাত্র রাজনীতির পুরনো প্রজন্মকে নিয়েও স্মৃতি চারণ করেন মমতা। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ১৯:৩৯
Share: Save:

দেশকে ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে, টাকা দিয়ে ভোট কেনা হচ্ছে, কুৎসা-অপপ্রচার চলছে। অতএব রুখে দাঁড়াতে হবে, আত্মসমর্পণ চলবে না, যোগ্য জবাব দিতে হবে। প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে তৃণমূল চেয়ারপার্সনের মূল বার্তা এটাই। মেয়ো রোডের সভামঞ্চ থেকে মঙ্গলবার বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গলমহলে বিজেপি ‘খুনোখুনি’ ফিরিয়ে আনছে এবং তিনি তা বরদাস্ত করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন। আর এনআরসি প্রসঙ্গ টেনে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জ্বলে উঠলেন আচমকা। হুঙ্কার দিয়ে বললেন, ‘‘এখানে আমরা বাঘের বাচ্চারা বসে আছি।’’

ঠিক ১৭ দিন আগে একটা জনসভা হয়েছিল এই মেয়ো রোডেই। সে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তার নাম ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছর এই সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধান বক্তা থাকেন, এ বার নতুন কিছু নয়। কিন্তু মাত্র আড়াই সপ্তাহের এ দিকে-ও দিকে মেয়ো রোডে দুটো জনসভা হবে, বাংলার রাজনীতিতে এখন পরস্পরের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা দল দুটোর ডাকেই সভা দুটো হবে, প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন দল দু’টির সর্বোচ্চ পদাধিকারীরা আর দুই জমায়েতের মধ্যে তুলনা টানা হবে না, এমনটা যে হতেই পারে না, তা তৃণমূল এবং বিজেপি ভালই জানত।

১১ অগস্ট অমিত শাহের সভা মিটতেই তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, ২৮ অগস্ট রেকর্ড ভিড় জমাতে হবে মেয়ো রোডে। অতীতের সব ছাত্র সমাবেশকে ছাপিয়ে যেতে হবে ভিড়ে। অভিষেকের বার্তার কথা জেলায় জেলায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভাগুলিতে জানিয়েও দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতারা। কিন্তু মঙ্গলবার মেয়ো রোডে জমায়েতের চেহারাটা যে রকম ছিল, তাকে আদৌ ‘রেকর্ড ভিড়’ আখ্যা দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে সংগঠনের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: টাকার কাছে আত্মসমর্পণ নয়: ছাত্র সমাবেশে সতর্কবার্তা মমতার

দেখুন মেয়ো রোডের সভার ভিডিয়ো

এ দিনের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাগোড়া আক্রমণাত্মক থেকেছেন বিজেপি-র বিরুদ্ধে। কংগ্রেস বা বামেদের বিরুদ্ধে সে ভাবে মূল খোলেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন। এত খারাপ সরকার দেশে আগে আসেনি— মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দি, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন তিনি। কেউ প্রতিবাদ করলেই সিবিআই-সহ নানা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারাবাসের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তৃণমূল সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করছে বলেই তৃণমূলকে ক্রমাগত হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ হয়। তাই বাংলাকে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।’’ চরিত্র হারানো চলবে না, আত্মমর্যাদার সঙ্গে আপোস করা চলবে না, যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক, প্রতিবাদের পথ থেকে সরে আসা যাবে না— ছাত্র সংগঠনকে এ দিন এই বার্তাই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।

রাজ্যের রাজনীতিতে টাকার রমরমা যে বাড়ছে এবং তা নিয়ে তিনি যে উদ্বিগ্ন, সে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে এ দিন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। খুব স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, ‘‘টাকার কাছে কেউ আত্মসমর্পণ করবেন না।’’ বিজেপি-আরএসএস জনগণের টাকা লুঠ করছে এবং সেই টাকা ভোট কেনার কাজে লাগাচ্ছে— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন মন্তব্যও করেন এ দিন। বিপুল টাকা খরচ করে এ রাজ্যে ভোটারদেরকে বিজেপি কেনার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বার বার সতর্ক করেন— টাকার প্রলোভনে পা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘‘টাকা থাকলেই হয় না, নিষ্ঠা দরকার। টাকা সব নয়, নিষ্ঠাটাই সব। টাকা দিয়ে চরিত্র নষ্ট করতে নেই। টাকা মাটি, মাটি টাকা।’’

প্রলোভনের ফাঁদে পা নয়, দলের প্রতি নিষ্ঠা জরুরি— এই বার্তাই দিলেন নেত্রী। ছবি: পিটিআই।

ছাত্র সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ দিন ছাত্র রাজনীতির পুরনো প্রজন্মকে নিয়েও স্মৃতি চারণ করেন মমতা। জগুবাবুর বাজারে তাঁর বক্তৃতা শুনে কী ভাবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন, তারাতলায় তাঁর ভাষণ শোনার পরে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি কবে তাঁকে তালশাঁস সন্দেশ খাইয়েছিলেন— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মতিচারণে এ দিন উঠে আসে সে সব কথা। সে জমানার ছাত্র রাজনীতির প্রশংসা করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘আমাদের আগের প্রজন্মগুলোর মধ্যে নিষ্ঠা অনেক বেশি ছিল। আমি এখনকার প্রজন্মকেও অনুরোধ করব, নিষ্ঠাবান হও।’’ প্রলোভনের ফাঁদে পা নয়, দলের প্রতি নিষ্ঠা জরুরি— এই বার্তা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘আমি চাই নিরলস কর্মী, নিঃস্বার্থ কর্মী, যে কর্মী টাকার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না।’’

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের অশান্তিতে ব্যক্তিস্বার্থই বড়: মমতা

বাংলার শান্তি দিল্লির সরকারের সহ্য হচ্ছে না, এমন মন্তব্যও এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে। দার্জিলিঙে অশান্তির জন্য তিনি বিজেপিকে দায়ী করেন এ দিন। অনেক কষ্টে দার্জিলিঙে শান্তি ফেরানো গিয়েছে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি এ বার জঙ্গলমহলের জেলাগুলোয় অশান্তি পাকাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে দেখুন। সিট তো পায়নি। কয়েক হাজার সিটের মধ্যে মাত্র কয়েকটা পেয়েছে। তাতেই জঙ্গলমহলে খুনোখুনি শুরু করে দিয়েছে।’’ মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি, ‘‘খুনোখুনির রাজনীতি আমি বরদাস্ত করব না।’’

যাঁরা আগে সিপিএমে ছিলেন, তাঁরাই এখন বিজেপি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম হয়ে ৩৪ বছর ধরে সারা বাংলায় যাঁরা অত্যাচার করেছে, সেই লোকগুলোই এখন বিজেপি হয়েছে। সিপিএমের হার্মাদ এখন হয়েছে বিজেপির জল্লাদ।’’ বিজেপি নেতৃত্বকে তীব্র কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘এক একটা বড় বড় হরিদাস হয়েছে। কালিদাস আর নেই। এখন সব হরিদাস। মুখে হরি হরি আর পিছনে মানুষ খুন করি।’’

কেন্দ্রীয় সরকারকে এ দিনের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ করেছেন। যে সব সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প কেন্দ্র চালাচ্ছে, সেগুলি আসলে প্রচার কৌশল, ইঙ্গিত মমতার। কোনও প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র ৩০ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে, বাকিটা রাজ্যকে দিতে হবে, কিন্তু সেই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করতে হবে— এই ভাবে মোদী নিজের প্রচার চাইছেন বলে মমতা অভিযোগ করেন। কেন্দ্রের টাকা না নিয়ে রাজ্য নিজেই প্রকল্প রূপায়ণ করবে, কিন্তু সরকারি অর্থে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার বরদাস্ত করবে না— বার্তা মমতার।

জরুরি অবস্থার সময়েও দেশে গণতন্ত্র এতটা আক্রান্ত হয়নি, যেমনটা এখন হচ্ছে, দাবি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। স্বাধীনতার পর থেকে যত সরকার কেন্দ্রে এসেছে, সব সরকার ভাল নয়, কিন্তু এত খারাপ কোনও সরকার ছিল না— এমন মন্তব্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূলনেত্রীর দাবি। গোটা দেশে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যদি কোনও সাংবাদিক নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তা হলে তাঁর চাকরি খেয়ে নিচ্ছে।’’ নাম না করে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘এনকাউন্টারের নাম করে যাকে-তাকে খুন করে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ একটা কথা বলে না।’’

আরও পড়ুন: মালদহে বোর্ড গঠনের লড়াইয়ে নিহত দুই, রেহাই পেল না শিশুও

মেয়ো রোডের জনসভা থেকে যে এনআরসি প্রসঙ্গে সুর সবচেয়ে চড়িয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, এ দিনের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই এনআরসি প্রসঙ্গে মুখ খুলবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল। অসমে যে ভাবে এনআরসি তৈরি হচ্ছে, এ দিন ফের তার নিন্দা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে কণ্ঠস্বর তুঙ্গে তুলে বলেন, ‘‘আবার বলছে এখানে এনআরসি চালু করতে হবে! কে চালু করবে এখানে? এখানে আমরা বাঘের বাচ্চারা বসে আছি। অত সহজ নয়।’’

সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার মন্ত্রণা দিলেন মমতা। —নিজস্ব চিত্র।

মাঠে-ময়দানে শুধু নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও যে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইটা জোরদার করতে হবে, সে কথা এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের। ফেসবুক বা টুইটারে বিজেপি যা কিছু লেখে, তা ভুয়ো এবং অপপ্রচার বলে তিনি দাবি করেন। বিজেপি-র কোনও পোস্টকে বিশ্বাস করার দরকার নেই— বার্তা দিয়েছেন তিনি। তার পরে দলের ছাত্র সংগঠনকে বলেছেন, ‘‘তোমরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কর তো? ভাল করে করবে। একটা বাজে কথা ওরা বললে তার ১০টা জবাব দেবে। এমন জবাব দেবে, যেন পালিয়ে যায়।’’ বিজেপি টাকার জোরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপট বাড়ানোর চেষ্টা করছে, তৃণমূলকে ‘নিষ্ঠা এবং হৃদয়’ দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে— এমন বার্তাও এ দিন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই ভাষণ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন এ দিন। দুর্নীতির যে অভিযোগ অমিত শাহ তাঁর বিরুদ্ধে তুলেছিলেন ১১ অগস্টের সভা থেকে, তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে— বলেন অভিষেক।

ছাত্র সংগঠনের তরফে তৃণাঙ্কুর, রুমানা, লগ্নজিতাদের এ দিন ভাষণ দিতে ডাকা হয়েছিল সভার শুরুতেই। তবে অপসারিত সভানেত্রী জয়া দত্তকে ভাষণ দিতে ডাকা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, মদন মিত্র, ইদ্রিস আলি, ইন্দ্রনীল সেন, কৃষ্ণা চক্রবর্তীরা এ দিনের মঞ্চে ছিলেন। সোনালি গুহ, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়দের মতো প্রাক্তন ছাত্র সভাপতিরাও ছিলেন মঞ্চে। এ দিনের সভা পরিচালনায় বৈশ্বানর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।

আরও পড়ুন: অটলে বাম-দ্বিধা, আমন্ত্রিত মমতাও

‘নিষ্ঠা এবং হৃদয়’— দলের মজবুতিতে এই দুটোতেই জোর দিতে বলেন মমতা। ছবি: পিটিআই।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া যে শীঘ্রই সেরে ফেলা হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাষণের শেষে এ দিন সে ইঙ্গিত দিয়ে দেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে কোর কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ছাত্র সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতিরা সেই কমিটিতে রয়েছেন এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা আলোচনা করে নতুন কমিটি গড়ে দেবেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন। জেলা এবং অন্যান্য স্তরের কমিটিগুলো যেমন চলছিল, তেমনই চলবে বলেও মমতা জানান। রাজ্যের জন্য নতুন কমিটি গড়ার প্রক্রিয়াতেই নতুন সভাপতিও বাছা হবে বলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সূত্রের খবর।

সভা শেষ হওয়ার পরে বিজেপি যথারীতি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূলের দিকে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘‘বিজেপির পাল্টা হিসেবে তিনটে সভা করল তৃণণূল। প্রথমে পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভার পাল্টা। বিজেপির জমায়েতের অর্ধেক লোক জমাতে পারেনি। তার পরে মেদিনীপুরে মোদীজির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ। বিজেপির জমায়েতের এক চতুর্থাংশ লোক হয়েছিল। এ বার মেয়ো রোডে অমিত শাহের সভার পরে ওদের সভা। মেয়ো রোড অর্ধেকটা ভরাতে পেরেছে। পায়ের তলার মাটিটা কী ভাবে সরছে, বুঝে নেওয়া উচিত তৃণমূলের।’’

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE