প্রার্থী: ভোট চাইতে তৃণমূল কাউন্সিলরদের কাছে বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত। শুক্রবার পুরভবনে। নিজস্ব চিত্র
কী ভাবে মেয়র নির্বাচনে ভোট দিতে হবে, শুক্রবার সেই বিষয়ে পুরভবনের কনফারেন্স হলে তৃণমূলের পুর দলের বৈঠক সবে শেষ হয়েছে। হঠাৎ নাটকীয় ভাবে প্রবেশ কাউন্সিলর ও মেয়র-পদে বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের। সামনে শাসক দলের যে-কাউন্সিলরকে পেয়েছেন, হাত জোড় করে তাঁকেই ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি প্রার্থী যে তাঁদের বৈঠকে এ ভাবে ঢুকে পড়ে ভোট চাইবেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। তাঁদের কারও কারও সঙ্গে করমর্দনও করেন মীনাদেবী। তিনি যান বাম কাউন্সিলরদের ঘরেও। সিপিএমের রত্না রায়মজুমদারের হাত ধরে ভোট চান বিজেপি প্রার্থী।
তৃণমূল ও বাম দুই তরফেই বলা হয়েছে, মীনাদেবী নিজেও জানেন একটাও বাড়তি ভোট পাবেন না। প্রচার পেতেই তাঁর ওই নাটক। মীনাদেবী বলেন, ‘‘এটা নাটক নয়। রাজনৈতিক সৌজন্য।’’ শুক্রবার রাত পর্যন্ত খবর, কংগ্রেস ও বাম পক্ষের কাউন্সিলরেরা মেয়র-পদের ভোটে বিরত থাকবেন।
সহজ অঙ্কে তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমের জয় নিশ্চিত। কারণ তৃণমূলের কাউন্সিলর আছেন ১২২ জন। বিজেপির পাঁচ। তবু পুরভবন-চত্বরে রীতিমতো পোস্টার, ব্যানারে প্রচার চলে পুরভবনে। মীনাদেবীকে জেতানোর আহ্বান জানিয়ে ব্যানার লাগায় বিজেপি। মেয়র-পদে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ফিরহাদের নামেও ব্যানার পড়ে। দিনের শেষে সব পোস্টার খুলে দেয় পুর প্রশাসন।
বেলা ২টো থেকে ভোটের প্রস্তুতি-বৈঠকে পুরভবনে আসতে শুরু করেন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। মূল ফটকের সামনে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে পুলিশ। বৈঠক পরিচালনা করেন মালা রায়। উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। মীনাদেবী জানান, তাঁকে ভোট দিতে শোভনবাবুকে অনুরোধ করবেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, ৩ ডিসেম্বর, ভোটের দিন বেলা ১২টার মধ্যে দলীয় কাউন্সিলরদের পুরভবনে পৌঁছনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy