Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মাছ-মেলা নিয়ে মাত্স্যন্যায় নির্দেশিকা তুলে নিলেন মন্ত্রী

মাছ উৎসব নিয়ে বিতর্কিত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দফতরের বাজেট এবং স্পনসরদের টাকাতেই ওই উৎসব করা হবে। আজ, শুক্রবার থেকে মৎস্য দফতরের উদ্যোগে নলবনে মাছ উৎসব হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বেঙ্গল ফিশফেস্ট’।

জেলার সহ-মৎস্য অধিকর্তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করতে বলে নির্দেশিকা।

জেলার সহ-মৎস্য অধিকর্তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করতে বলে নির্দেশিকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:১৫
Share: Save:

মাছ উৎসব নিয়ে বিতর্কিত নির্দেশিকা প্রত্যাহার করল মৎস্য দফতর। বৃহস্পতিবার মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বিধানসভায় এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দফতরের বাজেট এবং স্পনসরদের টাকাতেই ওই উৎসব করা হবে।

আজ, শুক্রবার থেকে মৎস্য দফতরের উদ্যোগে নলবনে মাছ উৎসব হচ্ছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বেঙ্গল ফিশফেস্ট’। সেই মেলার খরচ তোলার জন্য স্মরণিকায় বিজ্ঞাপন সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্য দফতরের অধিকর্ত্রীর সই করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, প্রতি জেলার সহ-মৎস্য অধিকর্তাদের কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন জোগাড় করতে হবে। এ বিষয়ে দফতরের অফিসারদের একাংশ-ই বলছেন, সরকারি আধিকারিকদের এ ভাবে নির্দেশিকা দিয়ে বিজ্ঞাপন জোগাড় করতে বলাটা অন্যায়।

রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষপদে কাজ করে যাওয়া একাধিক আইএএস অফিসারও জানিয়েছিলেন, চাকরি জীবনে এমন নির্দেশিকা জারি করে টাকা তোলার কথা শোনেননি তাঁরা। কেউ কেউ এমনও বলেছিলেন যে সরকারি উৎসবে বিজ্ঞাপনের পিছনে টাকা ঢেলে ব্যবসায়ীদের একাংশ পরবর্তী কালে বাড়তি সুবিধাও চাইতে পারেন। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত মৎস্য দফতরের কর্তারা এই নির্দেশিকা নিয়ে কোনও অনিয়ম মানতে চাননি।

পড়ুন: অফিসার দিয়ে মাছ-মেলার টাকা তোলার মাৎস্যন্যায়

এই বিতর্কিত নির্দেশিকার কথা এ দিন বিধানসভার অধিবেশনে তোলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, মৎস্য দফতর কী ভাবে এই নির্দেশিকা জারি করে? এটা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া যায় না বলেও জানান তিনি। তার জবাবে মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, সার্বিক ভাবে সিদ্ধান্ত করে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল এবং তা প্রত্যাহারও করা হয়েছে।

বুধবার মৎস্য দফতরের অধিকর্ত্রী মালবিকা ঝা বলেছিলেন, তিনি একা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। দফতরের অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে এ বিষয়টি স্থির হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। বিষয়টি যে খারাপ হয়েছে, তা অবশ্য প্রকারান্তরে মেনে নেন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা (সদর) শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

এ দিন মন্ত্রীও প্রকারান্তরে নির্দেশিকার দায় দফতরের আধিকারিকদের উপরে চাপিয়েছেন। বিধানসভার বাইরে চন্দ্রনাথবাবু তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, তিনি সরকারি কাজে জেলায় থাকার সময় তাঁকে না জানিয়েই এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তিনি বিষয়টি জানতে পারার পরেই ওই নির্দেশিকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

fishery department notice
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE