আটকে, তখন চলতে শুরু করেছে ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেনের তলায় ঢুকে এয়ার পাইপ মেরামতির কাজ করছিলেন গার্ড। আশপাশে দাঁড়িয়েছিলেন আরপিএফ কর্মীরা।
মেরামতির কাজ তখনও শেষ হয়নি। আচমকাই চলতে শুরু করে হাওড়া-দিঘা এসি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ঘটনায় হকচকিয়ে যান উপস্থিত রেলকর্মীরা। দ্রুত চালককে ট্রেন থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দৌড়ে এক জন কর্মী ট্রেনে উঠে চেনও টেনে দেন। কিন্তু, তত ক্ষণে অনেক দূর গড়িয়ে গিয়েছে ট্রেনের চাকা। কোনও মতে ট্রেনের ওই এয়ার পাইপে ঝুলে নিজের প্রাণ বাঁচালেন গার্ড এস এন রায়।
শুক্রবার সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া স্টেশনে। ১১টা ১০-এ ওই ট্রেনটির হাওড়া থেকে দিঘার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। রেলে সূত্রে জানা গিয়েছে, যাত্রা করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নিজেই রেললাইনে নেমে তা মেরামতি করতে যান গার্ড। তখনই ঘটনাটি ঘটে। ট্রেন চলতে শুরু করতেই, গার্ডের সঙ্গে আরপিএফ কর্মীরাও চিৎকার করে বলতে থাকেন, “ট্রেন থামান, ট্রেন থামান।” কিন্তু তত ক্ষণে ট্রেন চলতে শুরু করেছে। এই দৃশ্য দেখে, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রেল কর্মী ট্রেনে উঠে চেন টানেন।
আরও পড়ুন: লোকসভার প্রস্তুতিতে দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
কয়েক মুহূর্ত পরে ট্রেন থামে। তখন ট্রেনের তলা থেকে বেরিয়ে আসেন ওই গার্ড। এই ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। কিন্তু, গার্ডের তরফে সবুজ সঙ্কেত ছাড়া কোনও ভাবেই ট্রেন চালানোর কথা নয় চালকের। তা হলে কেন এয়ার পাইপ মেরামতির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি চলতে শুরু করল? তার উত্তর অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
স্বস্তি। বেরিয়ে আসার পর। ছবি: সংগৃহীত।
এই ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘৮০ হাজার দিলেই প্রি-স্কুলের ব্যবসা করা যাবে!’
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy