শিবরাজ সিংহ চৌহান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে পাল্টা স্লোগান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি শিবরাজ সিংহ চৌহান। কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরে শিবরাজ বুধবার বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, দিদিকে বলো। আর জনতা বলছে, দিদিকে ছাড়, মোদীকে বলো।’’ শিবরাজ অভিযোগ করেন, তৃণমূল চরম অন্যায়, অত্যাচার এবং গুন্ডাগিরি চালাচ্ছে এ রাজ্যে। রাজ্যবাসী এই লুঠ এবং দুর্নীতির জবাব দিয়েছে লোকসভা ভোটে। তাই আমরা এ রাজ্যে ১৮টা আসন এবং ৪০%-এর বেশি ভোট পেয়েছি। তাই দিদি ঘাবড়ে গিয়ে এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু মানুষের কল্যাণে কাজ করলে এখন দিদিকে এ সব করতে হত না।’’
তৃণমূল অবশ্য শিবরাজের কটাক্ষকে আমলই দিতে চায়নি। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব ফোন দিদির কাছেই যাবে। উনি শুনে যথাসম্ভব প্রতিকারের ব্যবস্থা করবেন। রাজনৈতিক মুনাফার লোভে বিজেপি নেতারা এ সব বলছেন। আমাদের বিশ্বাস, দিদিকে বলো কর্মসূচির জোরেই শুধু ২০২১ কেন, আরও অনেক দিন আমরা মানুষের সঙ্গে থাকব।’’ বারুইপুরের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন। তাই এই উদ্যোগ সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য।’’
যদিও শিবরাজের দাবি, ‘‘যা-ই করা হোক, এ বার এ রাজ্যে বিজেপিই সরকার গড়বে।’’ যার প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে কয়েকটি আসন পেয়ে বিজেপির ছাতি যেন ৫৬ ইঞ্চির থেকেও বেড়ে গিয়েছে। বাংলার সংস্কৃতি, সংগ্রামের ইতিহাস ওরা জানে না। ভাগাভাগির রাজনীতি করে ওরা ভোটে জেতার দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বিধানসভা ভোট আর লোকসভা ভোট এক নয়। মানুষ বিধানসভা ভোটে ওদের ছুড়ে ফেলে দেবে।’’
বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জাতীয় স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিবরাজ এ দিন হাওড়া এবং কলকাতায় কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে যান। হাওড়ার আন্দুল রোডের পাশে রামগড়িয়া ভবন গুরুদ্বার হলে কয়েক জন শিল্পপতি, অভিনেত্রী এবং শিক্ষককে বিজেপিতে যোগদান করান শিবরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy