প্রতীকী চিত্র
বাবা, এক ছেলে, দুই মেয়ে। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে চার জনের ছোট সংসার। বড় ছেলের বয়স পঁয়ত্রিশ, মুরারই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বাবা কীর্তন গায়ক। আর দুই বোনের বয়সই ত্রিশের কোঠায়।
রবিবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে স্থানীয় একটি আসরে কীর্তন গাইতে গিয়েছিলেন বাবা। গান গেয়ে রাত দু’টো নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির একটি অংশে আগুন লেগেছে, ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিপদের আশঙ্কা করে তখনই চেঁচামেচি করে ডাকেন পাড়াপড়শিদের। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, অগ্নিদগ্ধ বড় ভাই। অন্য ঘরে হাতের শিরা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন দুই বোন। তড়িঘড়ি দুই বোনকে নিয়ে যাওয়া হয় ময়ূরেশ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসালয়ে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে, দুই বোনের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
কিন্তু ঠিক কী কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন তিন ভাই-বোন? পাড়াপড়শিদের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুই বোনের বয়সই ত্রিশের কোঠায়, অর্থাৎ বিবাহযোগ্যা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করলেও বিয়ে হচ্ছে না দুই বোনের। এই নিয়ে পরিবারে লেগে থাকতো নিয়মিত অশান্তি। অশান্তি চরমে ওঠে ২৭ অগস্ট। ছোট বোনের একটি বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হলেও শেষ মুহূর্তে তা ভেঙে যায়। দুই বোনের অভিযোগ, তাঁদের বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগছেন না দাদা। বিষয়টি নিয়ে দাদার সঙ্গে দুই বোনের ঝগড়ার কথাও জানিয়েছেন পাড়াপড়শিরা।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতা-ফঙ্গিতা চিনি না, সব রং চড়ানো: অনুব্রত এক্সক্লুসিভ
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিয়ে না হওয়ার আক্রোশ থেকেই দাদার বিরুদ্ধে এক জোট হয় দুই বোন। দাদাকে আগুনে জ্বালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত দাদার মৃত্যু হলেও বেঁচে গেলেন দুই বোন।
আরও পড়ুন: ছাত্রভোটের বিধি বদলের ইঙ্গিত পার্থের
ঘটনাটিতে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে বীরভূম পুলিশ।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy