Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Education

প্রথম দশে বীরভূমের ছয়

নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় আনন্দ, উচ্ছ্বাস।

অগ্নিভ সাহা, অর্চিষ্মান সাহা, রাজিবুল ইসলাম, শুভদীপ চন্দ্র, অরণি চট্টোপাধ্যায়, জুনায়েদ হাসান (ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী)

অগ্নিভ সাহা, অর্চিষ্মান সাহা, রাজিবুল ইসলাম, শুভদীপ চন্দ্র, অরণি চট্টোপাধ্যায়, জুনায়েদ হাসান (ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী)

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২০ ০৩:২১
Share: Save:

অগ্নিভ সাহা, চতুর্থ

নম্বর: ৬৮৯

বীরভূম জেলা স্কুল

সিউড়ির শ্রীভূমিপল্লির বাসিন্দা

সকালে টিভি থেকেই সাফল্যের খবর পায় অগ্নিভ। মা কল্যাণী সাহা এবং বাবা নিখিল সাহা টিভি খুলে খবর দেখছিলেন। উৎকণ্ঠা নিয়ে পাশের ঘরে বসেছিল অগ্নিভ। চতুর্থ স্থানে নাম ঘোষণা হতেই মা ছুটে এসে খবর দেন। তার পর থেকেই পরিবারে উৎসব। কল্যাণীদেবী এবং নিখিলবাবু জানালেন, অগ্নিভ ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল। দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। দু’জন গৃ্হশিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে এবং গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। ভবিষ্যতে চায় ইঞ্জিনিয়ার হতে।

অর্চিষ্মান সাহা, ষষ্ঠ

নম্বর: ৬৮৭

বীরভূম জেলা স্কুল

সিউড়ির অরবিন্দপল্লির বাসিন্দা

টেস্ট পরীক্ষার ফল মনের মতো হয়নি। ওই ফল দেখেই জোরকদমে পড়াশোনা শুরু করে অর্চিষ্মান। পরিবারের আশা ছিল, মেধাতালিকায় নাম থাকবে। সকাল থেকে টিভির সামনে বসেছিলেন বাবা চন্দন সাহা। পাশের ঘরে মা মহুয়া সাহার সঙ্গে বসেছিল অর্চিষ্মান। নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় আনন্দ, উচ্ছ্বাস। ভবিষ্যতে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি, গান এবং ছবি আঁকতে ভালবাসে। ভাল ফল করতে গেলে পড়ার সঙ্গে লেখাও খুব দরকার বলে মনে করে অর্চিষ্মান।

রাজিবুল ইসলাম, ষষ্ঠ

নম্বর: ৬৮৭

বীরভূম জেলা স্কুল

সিউড়ির লালকুঠিপাড়ার বাসিন্দা

আশা ছিল মেধা তালিকায় ঠাঁই হবে। কিন্তু, এতটা উপরের দিকে স্থান হবে সেই আশা করেনি রাজিবুল। সকাল থেকেই টিভির সামনে মায়ের সঙ্গে বসে ভাল কিছুর অপেক্ষা ছিল। এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় বাবা মদত আলি বাইরে ছিলেন। মেধাতালিকায় নাম ঘোষণা হতে শুরু উচ্ছ্বাসের পালা। মা সাবিনা খাতুন জানান, কখনও পড়াশোনার জন্য বলতে হয়নি। সারাদিনে প্রায় সাত ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। সাত জন গৃহশিক্ষক ছিল। রাজিবুল গল্পের বই পড়তে এবং টিভি দেখতে ভালবাসে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।

শুভদীপ চন্দ্র, সপ্তম

নম্বর: ৬৮৬

রামপুরহাট জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন

রামপুরহাট শহরের বাসিন্দা

মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থানে নাম থাকবে ভাবতে পারেনি শুভদীপ। সপ্তম স্থানে নিজের নাম শোনার পরে খুশিতে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরেছিল। স্কুলের শিক্ষক থেকে মন্ত্রী, একের পর এক শুভেচ্ছা পেয়ে খুশি সে। স্কুলের সুনাম বজায় রাখতে পেরেও আপ্লুত। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে শুভদীপ। বাজারে ব্লিচিং, ফিনাইল, জ্যাম, জেলি জোগান দিয়ে সংসার সহ ছেলের পড়ার খরচ জোগান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শুভাশিস চন্দ্র। করোনা আবহে ব্যবসার অবস্থাও ভাল নয়। তবু ছেলের স্বপ্নপূরণ করতে চান তিনি।

অরণি চট্টোপাধ্যায়, সপ্তম

নম্বর: ৬৮৬

বীরভূম জেলা স্কুল

বোলপুর শহরের বাসিন্দা

ছেলে বরাবরই স্কুলে দ্বিতীয় হয়। মাধ্যমিকেও ভাল ফল করবে বলে আশা ছিল মা-বাবার। ৬৮৬ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করল অরণি। মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া বাড়িতে। অরণির কৃতিত্বের খবর পেয়ে ভিড় জমান প্রতিবেশীরাও। মা পাপড়ি চট্টোপাধ্যায় গৃহবধূ, বাবা হীরক চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। ছেলের সাফল্যে তাঁরা আপ্লুত। গর্বিত স্কুলের শিক্ষকরাও। পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ও ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে অরণি। ভবিষ্যতে গবেষক হতে চায় সে।

জুনায়েদ হাসান, দশম

নম্বর: ৬৮৩

প্রবীর সেনগুপ্ত বিদ্যালয়

বক্রেশ্বরের কচুজোড়ের বাসিন্দা

ছেলে বরাবরই স্কুলে প্রথম হয়। তাই মাধ্যমিকেও ভাল ফল করবে, সেই প্রত্যাশা ছিল। মেধাতালিকায় দশম স্থান পেয়ে সেই আশা পূরণ করেছে জুনায়েদ। সকালে পর্ষদের মেধা তালিকা প্রকাশের পরে তাই খুশির হাওয়া বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেঁষা জুনায়েদদের কচুজোড়ের বাড়িতে। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা মা নাজমিনা বেগম এবং সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মী বাবা মহম্মাদুল হাসানরা খুব খুশি। গর্বিত শিক্ষকরাও। পড়ার বই ছাড়া গল্পের বই আর ক্রিকেট প্রিয় জুনায়েদের। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সে।

উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে |

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Birbhum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE