পঞ্চায়েত মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। সেই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে গৃহীত পদক্ষেপের বিভিন্ন নথিপত্রের প্রয়োজন পড়তে পারে। এবং বিভিন্ন জেলার প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপ সংক্রান্ত সেই সব রিপোর্টকেই ঢাল করতে চায় কমিশন।
কিন্তু তার জন্য প্রশাসন ও পুলিশের রিপোর্ট তো হাতে পাওয়া চাই। চেয়েও এখনও পর্যন্ত অনেক জেলার প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তাই জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের কাছ থেকে ফের ‘অ্যাকশন টেকেন’ বা পদক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করল কমিশন। তাদের পর্যবেক্ষণ, জেলা প্রশাসনের তুলনায় বেশি সাড়া দিচ্ছেন পুলিশকর্তারা। কোথায় কী ভাবে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু অধিকাংশ জেলাশাসক এখনও রিপোর্ট পাঠাননি
৬ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই গোলমাল চলছিল। তখন কমিশন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, ভোট মামলার শুনানিতে তা জানতে চাইতে পারে শীর্ষ আদালত। সেটা আঁচ করেই জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। মনোনয়ন পর্বে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তার রিপোর্ট পাঠানোর জন্য কয়েক দিন আগে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পরেও তাতে তেমন ভাবে সাড়া দেননি বেশির ভাগ জেলাশাসক। সেই জন্য পদক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য আবার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট অবশ্যই কমিশনের দফতরে পাঠিয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।
পঞ্চায়েত ভোট পর্বে জেলাশাসক, পুলিশকর্তাদের দফায় দফায় নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, জেলা প্রশাসন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ রূপায়ণ করলে অশান্তির ঘটনায় অনেকাংশে লাগাম দেওয়া যেত। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। আইন অনুযায়ী ভোট পর্বে অশান্তি রুখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া ছাড়া তেমন কিছু করার ক্ষমতা নেই কমিশনের। সর্বোচ্চ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে জেলা প্রশাসনের ‘ভূমিকা’-কে সামনে আনতে পারে কমিশন। ওই সূত্রের ব্যাখ্যা, ভোট পর্বে অশান্তির মোকাবিলায় কমিশন কার্যকর ভূমিকা নিতে সচেষ্ট হয়েছিল। তবে কোনও কোনও জেলা প্রশাসন যে কমিশনকে ‘গুরুত্ব’ই দেয়নি, পদক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্টেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্যই কমিশন এই ধরনের রিপোর্ট তলব করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy