শান্তিপুর কলেজ। ফাইল চিত্র।
ফের কলেজে ঢুকে শিক্ষকদের নিগ্রহ-মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকির অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুরে। এ বারও নাম জড়াল টিএমসিপি নেতা মনোজ সরকারের, যাঁর বিরুদ্ধে আগেও স্টাফরুমে ঢুকে এক শিক্ষকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরার অভিযোগ উঠেছিল। ছাত্রনেতা সৌমিত প্রামাণিকের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। সৌমিত ও মনোজ, দু’জনেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ দিন সন্ধ্যায় শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিপুর কলেজের ইতিহাস ও হিসাবশাস্ত্রের আংশিক সময়ের শিক্ষক রামকৃষ্ণ মণ্ডল ও যাদব ঘোষ। তাঁদের অভিযোগ, দুপুরে কলেজের গ্রন্থাগারে জনা কয়েক যুবক এসে চড়াও হয়। চড়, লাথি, ঘুসি মারা হয় তাঁদের। রামকৃষ্ণের কথায়, ‘‘আমি আর যাদব লাইব্রেরিতে বসে ছিলাম। সেই সময়ে জনা কয়েক যুবক এসে আমাদের বলে ছাত্রনেতা সৌমিত প্রামাণিক আমাদের ডাকছে। আমরা যেতে অস্বীকার করলে ওরা চলে যায়। কিছু ক্ষণ পরে প্রচুর ছেলে নিয়ে ফিরে এসে আমাদের মারধর শুরু করে।”
রামকৃষ্ণের অভিযোগ, বুধবারই মনোজ সরকার তাঁকে আর যাদবকে ফোন করে মারধরের হুমকি দেয়। তাঁর দাবি, ‘‘কলেজের অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করছেন। তার প্রতিবাদ করাতেই এই হামলা।’’ আগ্নেয়াস্ত্রও তাক করা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করা হয়।
টিএমসিপির শান্তিপুর শহরের আহ্বায়ক সৌমিতের অবশ্য দাবি, “কলেজে মারধরের ঘটনাই ঘটেনি। ওই দুই শিক্ষক কলেজের উন্নয়নে বাধা দেন। অধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলছে। এতে ছাত্রদের ভূমিকা নেই। মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের জড়ানো হচ্ছে।” তিনি অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
শুধু কলেজে ঢুকে শিক্ষকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক বিজেপি প্রার্থীর আত্মীয়াকে ধর্ষণ ও ভোটের পরে এক বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল মনোজ। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আপাতত সে জামিনে মুক্ত।
শান্তিপুর কলেজের অধ্যক্ষ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কী হয়েছে, তা নিয়ে খোঁজ নেব।” তাঁর বিরুদ্ধে দুই শিক্ষকের আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কুৎসা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy