প্রতীকী ছবি।
ডিসেম্বরের ন’দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু ডেঙ্গিতে প্রাণহানির বিরাম নেই। রবিবার কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে দুই যুবক এবং আসানসোলে এক প্রৌঢ় মারা গিয়েছেন। তিন জনেরই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
হাওড়ার এক তরুণীর সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে ঠিক হয়েছিল কলকাতার শ্যামপুকুরের বাসিন্দা রোহিত কুমারের (২৫)। বরাহনগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবককে রবিবার মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর বন্ধু রীতেশ কুমার সোমবার বলেন, ‘‘২৮ নভেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিল রোহিত। আমহার্স্ট স্ট্রিটের হাসপাতালে ওর কোনও চিকিৎসা হয়নি। পাঁচ দিন পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্যত্র নিয়ে যেতে বলা হয়।’’ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোহিতকে বরাহনগরের হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়েরা।
রবিবারেই ইএম বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুরজিৎ সামন্ত (৩৭) নামে বিষ্ণুপুরের কোন্নগর এলাকার এক বাসিন্দার। ১ ডিসেম্বর তাঁর রক্তপরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। ফিজিয়োথেরাপিস্ট সুরজিতের অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও দেখা দিয়েছিল। তার জেরে এক সময় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে।
২৩ নভেম্বর থেকে জ্বরে ভুগছিলেন আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিংহ (৫৬)। তাঁকে প্রথমে সেখানকার ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না-হওয়ায় তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার মারা যান তিনি। পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গিই কি না, তা নিশ্চিত নয়। চিকিৎসা-নথি চেয়েছি।’’
ডেঙ্গির দৌরাত্ম্যের মধ্যেই বড়বাজারে ভাইভাক্স ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। রবীন্দ্র সরণির ওই বাসিন্দার নাম রাজিয়া সিকন্দর (৪৯)। রবিবার রাতে তাঁকে আমহার্স্ট স্ট্রিটে মারোয়াড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই মারা যান তিনি। ডেথ সার্টিফিকেট বলছে, রক্তাল্পতা ছিল রাজিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy