পঞ্চায়েত ভোটের ফল বিশ্লেষণের পর শাসকদলের কৌশল এখন ‘হুল দিবস’। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও জড়িয়ে থাকতে চাইছে তৃণমূলও। সেভাবেই রাজ্য দলের তরফে নির্দেশ গিয়েছে জেলার নেতাদের কাছে। রাজ্য স্তরের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হবে ঝাড়গ্রামে।
‘হুল দিবস’-এর ব্যপ্তি বিবেচনা করেই জঙ্গলমহলে এবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল। জনসংযোগের মঞ্চ হিসাবেই নানা অনুষ্ঠানে যুক্ত হচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। ঝাড়গ্রামে রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হিসাবে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অঞ্চলে দলের ফল ভাল না হওয়ায় বিষয়টি শাসক শিবিরের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটের হারানো জমি ফিরে পেতে দলকেও ‘হুল দিবস’ পালনে বিশেষভাবে সক্রিয় করতে চাইছেন পার্থ। প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রামের সাংগঠনিক কাজের দায়িত্ব আপাতত দলের মহাসচিব পার্থের হাতেই। দল কীভাবে এই কর্মসূচিতে যোগ তা ঠিক করতে আগামী সপ্তাহেই জেলার নেতাদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন। দলের এই মঞ্চে রাজনীতির বৃত্তের বাইরে থাকা মানুষ ও সংগঠনকেও সঙ্গে রাখতে চায় তৃণমূল।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছেন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মসূচি হবে। দলের তরফেও আলাদাভাবে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা ভেবেছি।’’ যৌথভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে থাকা অজিত মাইতিও বলেন, ‘‘সরকারের কর্মসূচি সরকার করবে। আমরা দলগতভাবে আলাদাভাবে কর্মসূচির কথা ভেবেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy