Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Urban Development Department

আবার কেন্দ্রের প্রশংসা পেল নগরোন্নয়ন দফতর

অমরুত উদ্যানের পরে এ বার জল প্রকল্পেও রাজ্যের ভূমিকার ‘সন্তুষ্টির’ ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তার মনোভাবে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:২৫
Share: Save:

স্বীকৃতির সূচক ক্রমবর্ধমান।

অমরুত উদ্যানের পরে এ বার জল প্রকল্পেও রাজ্যের ভূমিকার ‘সন্তুষ্টির’ ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তার মনোভাবে। এ রাজ্যের বাঁকুড়া পুর এলাকার জলের কাজ নিয়ে টুইট করলেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁকুড়ার ৬৩,০০০ বেশি পরিবার উপকৃত হবে বলে মত কেন্দ্র এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।

শহুরে জীবনের অন্যতম অঙ্গ হিসাবে জল, নিকাশি, পরিবহণ এবং উদ্যানই মূলত প্রাধান্য পায় অটল মিশন ফর রেজুভিনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন (অমরুত) প্রকল্পে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বঙ্গেও ৪২টি পুর এলাকার বৃহৎ জল প্রকল্প শুরু হয়। তার মধ্যে বাঁকুড়ার পুর এলাকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে জানাচ্ছেন এ রাজ্যের পুর আধিকারিকরা। একইরকমভাবে প্রায় কাজ শেষ হয়েছে আসানসোল, শ্রীরামপুর পুর এলাকাতেও। উলুবেড়িয়ার কাজের গতিও প্রায় সমতুল।

পরিশ্রুত জলের জলাধার, ওভারহেড ট্যাঙ্ক, পরিশ্রুত জলের সংবহন লাইন এবং বাড়ি বাড়ি তা পৌঁছনো—এই সব নিয়েই অমরুতের জল প্রকল্প। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি ধাপে ব্যয়বরাদ্দ হয়েছিল। প্রথম ধাপেই সিংহভাগ ব্যয় হয়েছে। তাতেই প্রায় সব কাজটা শেষ হয়েছে। বাঁকুড়ার পুর নাগরিকদের বাড়ির সামনের ‘স্ট্যান্ড পোস্ট’ পর্যন্ত জল পৌঁছেছে। বাকি রয়েছে সেখান থেকে উপভোক্তাদের বাড়ির ট্যাঙ্কে জল পৌঁছনো, মিটার তৈরি। আপাতত

সেই কাজ চলছে। বাঁকুড়া পুর এলাকার জলের জন্য প্রথম ধাপে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়। আর দ্বিতীয় ধাপে ১৬ কোটি ব্যয় হবে। বাড়ির ভিতরে জলের কাজের ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকাও রয়েছে। তাই সেখানে কখনও কখনও কাজ শ্লথ হয়। তবে করোনা আবহেও সেই কাজ চলছে বলে জানাচ্ছেন এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। তাই বাঁকুড়া পুর এলাকার অমরুতের আওতাধীন জল প্রকলের সম্পূর্ণ কাজ আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে আশাবাদী তাঁরা।

অমরুত অধীনস্থ বাঁকুড়ার জল প্রকল্প নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করেন কেন্দ্রীয় সচিব কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় অমরুতের কাজ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন আলাদা করে কেন বাঁকুড়ার কথা উল্লেখ করলেন তিনি? বাঁকুড়াতে পরিশ্রুত জল পাওয়া নিয়ে অনেক সময় সমস্যা পড়তে হয় নাগরিকদের। সে কারণে হয়তো বাঁকুড়া পুরসভার প্রসঙ্গ আলাদা করে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় সচিব। তেমনটাই মত এ রাজ্যের পুর কর্তাদের।

দিন কয়েক আগে অমরুতের অধীন থাকা বিভিন্ন উদ্যানের ছবিকে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেছিল কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। আর তারপর জল প্রকল্পেও স্বীকৃতি মিলেছে। ‘‘আমরা আমাদের যা করণীয় সেই কাজ করি। তবে কোথাও থেকে সেই কাজের স্বীকৃতি মিললে ভালই লাগে।’’—বলছেন বঙ্গ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE