ভাগাড়-কাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হল সিআইডিকে। এখনও পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত চালাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে এই চক্রের আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ। ভাগাড়ের মাংস পাচার চক্রের এই বিস্তৃতি দেখেই গোটা তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর।
মাংস পাচার চক্রের পাণ্ডা বিশ্বনাথ ঘড়াই ওরফে মাংস বিশুকে জেরা করে জানা গিয়েছে, এই মাংস পাচারের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা জুড়ে রয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় বিশুর নেটওয়ার্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। সেই নেটওয়ার্কে আরও কারা কারা আছে তারও হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা বিশুর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। হদিশ মিলেছে বিশুর বিশাল সম্পত্তির।
বিশুকে জেরা করেই জানা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন শহরে তো বটেই, নেপাল ও ভুটানেও এই ভাগাড়ের মাংস পাচার করেছে সে। সেই সমস্ত নেটওয়ার্কগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য সিআইডি-র মতো বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন বলে ধারণা শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের। এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা বলেন, “এই চক্রের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে একাধিক রাজ্য এবং ভিন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় প্রয়োজন। তাই রাজ্য সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল।”
আরও পড়ুন: পাচার নিয়ে এত বড় বড় কথা! আর কী হচ্ছে এ রাজ্যের সীমান্তে?
আরও পড়ুন: হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন, ঝুলেই রইল পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ
জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত যা যা তথ্য পেয়েছে, সেই তথ্য সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিআইডি সূত্রে খবর, এই তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy