ডোমকলের কুপিলায় ঝড়ের তাণ্ডব। ভেঙে গিয়েছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকে ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। সোমবার সকালের বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়ারা। ঘণ্টা খানেক চলে বৃষ্টি। ঝড়বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে পাঁচ জেলায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
কলকাতার পাশাপাশি বৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, পুরুলিয়া, বর্ধমান, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদে সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে থাকে। বাজ পড়ে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এর মধ্যে হুগলির গোঘাটে এক জন এবং উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার কালীগঞ্জ, মুরুটিয়া, তেহট্টে এক জন করে মোট তিন জন এবং মুর্শিদাবাদের ডোমকল, হরিহরপাড়া এবং দৌলতাবাদে এক জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এবং চন্দ্রকোনায় এক জন করে প্রাণ হারিয়েছেন।
পুরুলিয়া-মালদহে শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃষ্টিতে স্বস্তির খবর থাকলেও আম চাষিদের কাছে আশঙ্কাও তৈরি করেছে। কারণ, শিলাবৃষ্টির কারণে আমের ফলনে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গাছ পড়ে বন্ধ রাস্তা। সোমবার বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের সামনে। নিজস্ব চিত্র।
এ দিন সকাল থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে বলেই জানিয়েছিল আলিপুর। তবে বৃষ্টি হলেও আপাতত আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy