প্রতীকী ছবি।
রেশনে নিম্ন মানের চাল সরবরাহ নিয়ে তুমুল হইচইয়ের পরে খেসারত হিসেবে ভাল চাল আদায়ের ব্যবস্থা তো হয়েছেই। সেই সঙ্গে চালের গুণমান বজায় রাখতে ল্যাবরেটরি বা পরীক্ষা কেন্দ্রও তৈরি করছে রাজ্য সরকার। প্রথম দফায় এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।
খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, খাদ্য ভবনে আট হাজার বর্গফুট জায়গায় সব থেকে বড় পরীক্ষা কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হবে। এ ছাড়া দফতরের ছ’টি আঞ্চলিক অফিস (শিলিগুড়ি, মালদহ, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও বর্ধমান), জেলা সদর দফতর, নিজস্ব ১৭৫টি গুদামঘরের লাগোয়া অফিসেও ছোট-মাঝারি ল্যাবরেটরি গড়ে উঠবে। রেশনে বিলির আগে চালের মান পরীক্ষা করাই হবে তাদের প্রধান কাজ।
গম, আটার সঙ্গে সঙ্গে রেশনের চালের মান নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। রেশনে নিম্ন মানের চাল বিলি হচ্ছে বলে সম্প্রতি নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসেই তদন্তের নির্দেশ দেন।
‘‘চালের গুণগত মানের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হতেই আমরা আধুনিক পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি করছি। প্রথম ধাপে এতে ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে,’’ বলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানান, চাল এলেই যে-কোনও বস্তা থেকে তার নমুনা নিয়ে প্রথমে পরীক্ষা
কেন্দ্রে পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পরে রাজ্য গুদামঘর নিগম এবং ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার নিযুক্ত সংস্থা তা পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেবে।
এই প্রকল্পের একটি ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির জন্য খাদ্য দফতরের যুগ্মসচিব ও ডিরেক্টর পদমর্যাদার দু’জনকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি তৈরি হয়ে গেলে তাদের চাল-গম পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের যে-কেউ সেখানে নিজেদের খাদ্যশস্যের মান যাচাই করিয়ে নিতে পারবেন। বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদের উপরে আর নির্ভর করতে হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy