Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘দিদিকে বলো’র ভার, যুব নেতা বলছেন, ‘তৃণমূলই করি না’

এই সূত্রেই উপকূলীয় রাজ্যগুলি থেকে জনমানবশূন্য দ্বীপগুলির সবিস্তার তথ্য জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরোর উপগ্রহ।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৩৬
Share: Save:

জনসংযোগে তাঁর দোরে দোরে ঘোরার কথা। তালিকা তেমনটাই বলছে। অথচ যুব তৃণমূলের সেই নেতা বলছেন, ‘‘আমি তো তৃণমূল করি না।’’

মন্ত্রী, বিধায়কদের পাশাপাশি তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে এলাকায় ঘুরছেন দলের যুব নেতারা। কে, কবে, কোথায় যাবেন কেন্দ্রীয় ভাবে তার তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে জনসংযোগে বেরোনোর কথা ছিল সুখেন্দু মাইতির। কিন্তু এ দিন তিনি কর্মসূচি করেননি। সুখেন্দুর সাফ কথা, ‘‘আমি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নই। কর্মসূচি করার প্রশ্নই ওঠে না।’’

কেশিয়াড়িতে গত লোকসভায় বিজেপির ‘লিড’ ছিল প্রায় ১১ হাজার। ব্লকে পদ্ম ফোটা শুরু অবশ্য ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই। সে বার ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতর মধ্যে গেরুয়া শিবির দখল করে ৫টি, তৃণমূল জেতে ৪টিতে। আর পঞ্চায়েত সমিতির ২৫টি আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে রয়েছে ১৫, তৃণমূলের দখলে ১০টি আসন। তবে অশান্তির আশঙ্কায় বারবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করেছে প্রশাসন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছে বিজেপি।

যে ব্লকে তৃণমূলের এমন ‘কোণঠাসা’ দশা, সেখানে জনসংযোগের এই হাল নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় বাঘাস্তি পঞ্চায়েতের চাকলা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী সুখেন্দু ২০১১ সালের আগে তৃণমূলর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের অনুগামী বলে পরিচিতি ছিল তাঁর। পরে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। সুখেন্দু নিজেও বলছেন, ‘‘আমি এ সবে যুক্ত নই।’’

কেন এমন এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হল?

এর জবাব অবশ্য ব্লক বা জেলা তৃণমূলের কোনও নেতার কাছেই নেই। জানা গিয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকেই তালিকা এসেছে। এ বারে জেলার নেতারা কিছু জানেন না বলেই দাবি করছেন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পবিত্র শীট ও জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানি না।’’ সঙ্গে অজিত জুড়ছেন, ‘‘কেশিয়াড়িতে প্রতিদিনই তৃণমূলের কর্মসূচি চলছে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি থাকছেন।’’

বাস্তবে এ দিনই কেশিয়াড়িতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। সেখানে বিধায়ক পরেশ মুর্মু ও ব্লক সভাপতি পবিত্র শীটের বিরোধও চাপা থাকেনি। বিধায়ক বলছেন, ‘‘নেতা মানেই বড় মনের হতে হবে। তার খামতি আছে।’’ ব্লক সভাপতির পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।’’

এই পরিস্থিতিতে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের কেশিয়াড়ি দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি সনাতন দোলাইয়ের কটাক্ষ, ‘‘ওদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দলের কাজ আর কী করবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Didi Ke Bolo Campaign Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE