অর্জুন, আবীর, অনির্বাণ
তিন জন পরিচালক একই বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি করার পরিকল্পনা করছেন। যেমন ভাবে ব্যোমকেশ বক্সী বা অন্য গোয়েন্দা নিয়ে টানাটানি চলে, সেটাই চলছে বিনয়-বাদল-দীনেশ নিয়ে। অনিকত চট্টোপাধ্যায়, মানস মুকুল পালের পর অঞ্জন দত্ত এ বার এই তিন বিপ্লবীকে নিয়ে ছবি করতে চলেছেন। জানিয়েও দিলেন আগামী স্বাধীনতা দিবসেই তাঁর ছবি মুক্তি পাবে।
অঞ্জনের কাছে বাঙালি কেতাদুরস্ত কসমোপলিটন। কিন্তু বাঙালির ফাইটিং স্পিরিট তাঁর চলচ্চিত্রে সে ভাবে উঠে আসেনি বলছেন পরিচালক। অথচ বাংলার নবজাগরণ থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি রীতিমতো যোদ্ধা। সেই ইতিহাসকেই তাঁর নতুন ছবিতে দলিল করতে চলেছেন অঞ্জন। ১৯৩০ সালে বিনয়, বাদল, দীনেশের রাইটার্স অভিযানের ঘটনা নিয়ে তাঁর ছবি ‘অপারেশন রাইটার্স’।
ঘটনাটা এমনিতেই ড্রামাটিক, সেটাকে আরও সিনেম্যাটিক করে তুলেছেন অঞ্জন। বলছিলেন, ‘‘বিষয়টা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গবেষণা করছি। ‘জেন্টলম্যান টেররিস্ট’ বইটা পড়ে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি। লালবাজার থেকে তথ্য পেয়েছি। বাঙালি বুদ্ধিদীপ্ত, সংস্কৃতিমনস্ক বলে পরিচিত। কিন্তু বাঙালির যে ফাইটিং স্পিরিট সেটার কথা বলা দরকার বলে মনে হয়।’’
ছবিতে বিনয়ের চরিত্র করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী বাদল এবং দীনেশ হচ্ছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অঞ্জন এত দিন পর্যন্ত যে ধরনের ছবি করেছেন ‘অপারেশন রাইটার্স’ তার চেয়ে একেবারে আলাদা। ১৯৩০ সালের কলকাতা তৈরি করাটাও পরিচালকের কাছে এক রকমের চ্যালেঞ্জ।
এ দিকে অনিকেত এবং মানস মুকুল দু’জনেই জানালেন, খুব তাড়াতাড়িই তাঁরা ফ্লোরে যাবেন। এখন দর্শক কার ছবিকে শেষমেশ স্বীক়ৃতি দেবেন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy