প্রতীকী ছবি।
ফেশিয়াল মিস্ট
এখন অনেকেই নিয়মিত রুটিন মেনে রূপচর্চা করতে পারেন না সময়ের অভাবে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় বেশির ভাগ সময়ে, জৌলুস হারায়। তাঁরা কিন্তু চটপট কাজ সারতে মুখটা ভাল ফেস ওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে হাইড্রেটিং ওয়াটার বা ফেশিয়াল মিস্ট লাগাতে পারেন। নিছক টোনারের বদলে সেলেব থেকে কর্পোরেট— অনেক মহিলাই এখন বেছে নিচ্ছেন ফেশিয়াল মিস্ট। এগুলো পাওয়া যায় স্প্রে বটলে। ফলে নিজের সুবিধে মতো ব্যাগে করে নিয়ে যেতেও পারেন। অনেক ক্ষণ এয়ার কন্ডিশনড জায়গায় থাকলে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। তখন এই ফেশিয়াল মিস্ট স্প্রে করে নিতে পারেন। ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক থাকবে। এগুলো অয়েল ফ্রি হয় বলে মুখের তরতাজা ভাবও ফিরিয়ে আনতে পারে চটজলদি। আবার হার্বস ব্লেন্ডে়ড ফেশিয়াল মিস্ট হলে বাড়তি উপকারও পাবেন।
বিউটি ফ্লুয়িড
সাধারণ ময়শ্চারাইজ়ার এখন পুরনো। বরং স্কিন রিজেনারেশন টেকনিক মেশানো বেশ কিছু বিউটি ফ্লুয়ি়ড চলে এসেছে হাতের নাগালে, যা ব্যবহার করলে ত্বকের টেক্সচার আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা তো বজায় থাকবেই, তার সঙ্গে ত্বকের রোমকূপে কোনও চিটচিটে ভাবও থাকবে না। কিছু বিউটি ফ্লুয়িড আছে, যেগুলো রাতে ব্যবহার করার। স্কিন সেরামের বদলে বিউটি ফ্লুয়িড ব্যবহার করতে পারেন। বেশ কিছু ভারতীয় কোম্পানি রয়েছে, যাদের প্রডাক্ট নির্ভরযোগ্য। তবে কেনার আগে উপকরণের তালিকা ভাল করে দেখে নেবেন, আপনার ত্বকের পক্ষে সেগুলো সঠিক হবে কি না বোঝার জন্য। এগুলোয় অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি মেশানো থাকে বলে ৩০ বছর বয়সের পর থেকে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। অনেক ডে টাইম বিউটি ফ্লুয়িডও আছে, যেগুলো অনায়াসে মেকআপ বেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকে ন্যাচারাল গ্লো আসবে। আবার ত্বককে হাইড্রেট করতে এমনিও ব্যবহার করতে পারেন।
ফেশিয়াল অয়েল
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের জন্য এখন আর শুধু ময়শ্চারাইজ়ার নয়। বেছে নিতে পারেন আরগান অয়েল বা ভিটামিন ই দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ফেশিয়াল অয়েল। শুধু শুষ্ক ত্বকের জন্যই নয়, এমন অনেক ফেস অয়েলও পাবেন, যেগুলো মুখের ত্বকের অতিরিক্ত তেলক্ষরণ বন্ধও করে। তার ফলে ত্বকে র্যাশ বা ব্রণর দাপট কমে যায়।
মেল্টিং ফর্মুলা
এখনও সে ভাবে জাঁকিয়ে না বসলেও ধীরে ধীরে বিউটি মার্কেটে জায়গা করে নিচ্ছে বিভিন্ন মেল্টিং ফর্মুলা— মেল্টিং ক্লেনজ়ার, মেল্টিং মাস্ক ইত্যাদি। কিন্তু ব্যাপারটা কী? ধরুন, একটা জেল বেস্ড মেল্টিং ফর্মুলা ক্লেনজ়ার আপনি ব্যবহার করতে চান। সেটাকে প্রথমে গোটা মুখে ভাল করে মাসাজ করতে করতে দেখবেন, আঙুলের ঘষায় জিনিসটা অয়েলে পরিণত হয়েছে। এর পরে যদি জলে মিশিয়ে ওই জেল ফর্মুলা আপনি ব্যবহার করলে দেখবেন, জিনিসটা পুরো ক্লেনজ়িং মিল্কের মতো! ম্যাজিক মনে হচ্ছে না? কিন্তু ব্যাপারটা বাস্তব। অন্য সব বিউটি ট্রেন্ডের মতো এটাও এসেছে জাপান এবং কোরিয়া থেকে। একই প্রডাক্টে দু’তিনটে কাজ সারা হয়ে যাচ্ছে বলে ভারতীয় মহিলারাও পছন্দ করছেন এই মেল্টিং ফর্মুলা। এবং এর রূপান্তরগুলো কিন্তু ত্বকের বিভিন্ন চাহিদা মেনেই। অনলাইনে এগুলো দিব্যি পেয়ে যাবেন।
মাইসেলার ওয়াটার
মেকআপ রিমুভার হিসেবে অনেকে ক্লেনজ়িং মিল্ক ব্যবহার করেন। কিন্তু যাঁরা বিউটি ট্রেন্ড নিয়ে চর্চা করেন, তাঁরা জানবেন, মাইসেলার ওয়াটার এখন মেকআপ রিমুভার হিসেবে বিউটি মার্কেটে এক নম্বরে রয়েছে। কমবেশি সব কোম্পানিরই তালিকায় এখন মাইসেলার ওয়াটার রয়েছে। এর মধ্যে এক রকমের ড্রাই অয়েল থাকে। এর ফলে মেকআপ তোলার পরে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না। আবার অয়েল বেসড নয় বলে যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন এই মাইসেলার ওয়াটার।
এই অতিরিক্ত উপকরণ আপনার ত্বকেও এনে দেবে আলাদা রকমের জেল্লা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy