Advertisement
১৯ মে ২০২৪

জাদুময় ভিয়েনা

ভিয়েনাতে কনফারেন্স হবে বলে বাড়তি একটা উত্সাহ নিয়ে রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছিলাম। এক দিকে বিঠোফেন আর মোৎজার্টের স্মৃতি বিজড়িত, অন্য দিকে বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন— নানা ঘটনার সাক্ষী এ শহর দেখার ইচ্ছে আমার বহু দিনের। সে কারণেই পেপারটা নির্বাচিত হওয়ায় একটু বেশি মাত্রায় আনন্দ পেয়েছিলাম। জুন মাসের মাঝামাঝি অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে সোয়েটার এবং ছাতা নিয়ে রওনা দিলাম ডাবলিন বিমানবন্দরের উদ্দেশে। গন্তব্য ভিয়েনা। লিখছেন দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

ভিয়েনাতে কনফারেন্স হবে বলে বাড়তি একটা উত্সাহ নিয়ে রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছিলাম। এক দিকে বিঠোফেন আর মোৎজার্টের স্মৃতি বিজড়িত, অন্য দিকে বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন— নানা ঘটনার সাক্ষী এ শহর দেখার ইচ্ছে আমার বহু দিনের। সে কারণেই পেপারটা নির্বাচিত হওয়ায় একটু বেশি মাত্রায় আনন্দ পেয়েছিলাম।

জুন মাসের মাঝামাঝি অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে সোয়েটার এবং ছাতা নিয়ে রওনা দিলাম ডাবলিন বিমানবন্দরের উদ্দেশে। গন্তব্য ভিয়েনা। চার বছর বিলেতে থেকে সূর্যের আলো গায়ে মাখা পৃথিবীর রূপটাই ভুলতে বসেছি। কিছু দিনের জন্য হলেও বিরক্তিকর শীতল ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থেকে মুক্তি পাব, এই ভেবে মনটা আনন্দে ভরে উঠল। মধ্য জুনে ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম থাকার কথা। অনেকটা আমাদের বসন্তকালের মতো।


‘বিফোর সানরাইজ’

ভিয়েনা বিমানবন্দরের বাইরে ঝকঝকে-পরিষ্কার-রোদ্দুরময় আকাশ দেখে মনটা ভরে গেল। এয়ারপোর্ট থেকে মূল শহর বেশ খানিকটা দূরে। ট্রেনে প্রায় আধ ঘণ্টা লাগে। এয়ারপোর্টের ভিতরে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। ট্রেনে উঠে মনে পড়ল বেশ কিছু কাল আগে দেখা ‘বিফোর সানরাইজ’ ছবির সেই দৃশ্যটি। যেখানে ভিয়েনাগামী ট্রেনের কামরায় মার্কিন ছেলেটির সঙ্গে ফরাসি মেয়েটির প্রথম আলাপ। তার পরেই ছেলেটি প্রস্তাব দেবে মেয়েটিকে— ভিয়েনা স্টেশনে নেমে তারা সারা দিন শহর ঘুরে পরের দিন যে যার গন্ত্যব্যে রওনা দিলে কেমন হয়! কিন্তু ভিয়েনার জাদু স্পর্শে মাত্র এক দিনেই ওই যুবক-যুবতী অনির্বচনীয় এক বন্ধনে পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে। অবশ্য এই বঙ্গসন্তানের ক্ষেত্রে সে সব কিছুই ঘটেনি। আমার উল্টো দিকের আসনে এসে বসলেন এক বৃদ্ধ। পুরো সফরটাতেই যিনি খবরের কাগজে মুখ ঢেকে থাকবেন।

বিমানবন্দর চত্বরে ইংরেজিতে লেখা পথ নির্দেশিকার ছড়াছড়ি ছিল। কিন্তু স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে সে নির্দেশিকার সংখ্যা গেল কমে। হোটেল এখান থেকে কিলোমিটার তিনেক। একটা ফাঁকা ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে, হোটেলের ঠিকানা দেখিয়ে চালককে ইংরেজিতে প্রশ্ন করলাম, তিনি আমাকে ওই হোটেলে পৌঁছে দিতে পারবেন কিনা? প্রশ্ন করেই বুঝলাম, তাঁর কাছে ইংরেজি হোক বা বাংলা, বিষয়টা প্রায় একই! তবু তাঁর ট্যাক্সিতেই হোটেলে পৌঁছলাম। ইউরোপের সব জনপ্রিয় শহরগুলিতে দেখেছি, হোটেলের রিসেপশনে সেখানকার দ্রষ্টব্য জায়গাগুলিতে যাওয়ার জন্য দিক নির্দেশকারী ম্যাপ বিনা পয়সায় পাওয়া যায়। এখানেও একই ব্যবস্থা। হোটেলটা সিটি সেন্টার থেকে সামান্য দক্ষিণে। ম্যাপ দেখে বুঝলাম এখান থেকে সবটাই পায়ে হেঁটে ঘুরে নেওয়া যাবে।

কনফারেন্স শুরু পরের দিন। কাজেই তার আগের গোটা দিনটি ঘোরার জন্য বরাদ্দ করা যেতে পারে। হোটেলের ঘরে ব্যাগপত্র রেখে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথমেই ঢুকলাম একটা খাবারের দোকানে। ইংরেজিতে অর্ডার দিতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। শুনলাম, দোকানি তাঁর কর্মচারীদের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলছেন। আলাপের পর জানা গেল, ভদ্রলোকের বাড়ি পাকিস্তানে। বহু বছর দেশ ছাড়া। তবে তিনি জার্মান ভাষায় মাতৃভাষার মতোই সচ্ছন্দ। বিজাতীয় ভাষায় কথা বলতে হল না বলে মন কিছুটা স্বস্তি পেল। তবে রসনা পুরোপুরি তৃপ্ত হল না। কারণ, দোকানটি তথাকথিত কন্টিনেন্টাল ফুডের। ভারতীয় খাবার সেখানে পাওয়াই যায় না।

কার্লস্কার্চ

খিলানের গায়ে কারুকার্য

খাওয়া শেষ করে গেলাম কার্লস্কার্চ। বাংলায়— রাজা চার্লসের গির্জা। ভিয়েনার গির্জাগুলির মধ্যে এটি সর্বোত্তম। চার্চটির প্রধান আকর্ষণ এর উপবৃত্তাকার গম্বুজ এবং তার পাশের দু’টি খিলানে পাথরের গায়ে অপূর্ব খোদাইকাজ। ১৭১৩ সালে রাজা ষষ্ঠ চার্লস নিজের নাম চিরস্মরণীয় করে রাখতে এই গির্জা নির্মাণ করেন। গির্জার নির্মাণ কৌশল মনোনয়নে তিনি আয়োজন করেন প্রতিযোগিতার। শেষে জোহান ফিশার নামের এক আর্কিটেক্টের নির্মাণশৈলি পছন্দ হয় রাজার। গির্জার কাজ শুরু হয় ১৭১৬ সালে। ১৭২৩ সালে ফিশারের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে এম্যানুয়েল এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে। লরেনজো মাতিয়েলির তত্ত্বাবধানে রোমের ট্রাজান কলামের অনুকরণে চার্চের খিলান দু’টি নির্মিত হয়।

দ্বিতীয় জোসেফের মূর্তি

নেপচুনের মূর্তি

গির্জা ঘুরে পশ্চিমমুখী রাস্তা ধরে মিনিট দশেক হাঁটার পরে পৌঁছলাম মিউজিয়াম কোয়ার্টারে। এই চত্বরে পর পর অনেকগুলো মিউজিয়াম আছে। যাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আলবার্তিনা। এখানে সংগৃহীত রয়েছে স্কেচ, এনগ্রেভিং, এচিং, উডকাট মিলিয়ে প্রায় দশ লক্ষ প্রিন্ট-রুম সামগ্রী। আলবার্তিনার সামনের দিকে পাথরের তৈরি মূর্তিগুলোর আকর্ষণও অনস্বীকার্য। ঘোড়ায় বসা জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় জোসেফ এবং নেপচুনের মূর্তি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। আলবার্তিনা হলের ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে নিও রেনেসাঁ স্থাপত্যকলায় নির্মিত ভিয়েনা অপেরা হাউস। আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় অভিনেতারা নিজেরাই রঙ্গমঞ্চের জমকালো পোশাক পরে টিকিট বিক্রি করছেন। টিকিটের দাম কিন্তু আকাশছোঁয়া। সর্বনিম্ন মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। ছাপোষা মধ্যবিত্ত এই বাঙালির তাই ভুলেও ও দিকে পা বাড়ানোর উপায় নেই!

হফবুর্গ প্রাসাদ

অপেরা হাউস

আর একটু এগিয়ে গেলে অস্ট্রীয় ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশীল রাজবংশ হাবসবুর্গদের প্রাসাদ হফবুর্গ। অতীতের গরিমা হারিয়ে এই হফবুর্গ প্রাসাদ এখন অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি ভবন। প্রাসাদ প্রাঙ্গনেই রয়েছে মিউজিয়াম এবং অস্ট্রিয়ার জাতীয় গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারের ঠিক সামনেই হেলদেনপ্লাত্জ— সবুজ ঘাসে ঢাকা উন্মুক্ত প্রাঙ্গন— জার্মান ভাষায় এর অর্থ অধিনায়কের প্রাঙ্গন। নামটা কিন্তু ভীষণই প্রাসঙ্গিক।

মোত্জার্ট-এর মূর্তি

দেবী এথেনা

এই মাঠেই ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে হিটলার দু’লক্ষ অস্ট্রিয়াবাসীর সামনে অস্ট্রিয়া জার্মান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন।

হেলদেনপ্লাত্জ থেকে দক্ষিণমুখী রাস্তা ধরে আধ কিলোমিটার হাঁটলেই পৌঁছনো যায় বুর্গগার্টেন অর্থাত্ প্রাসাদ উদ্যানে। ইতিহাস বলে, শত্রুদের হাত থেকে বাঁচতে ভিয়েনার রাজারা হফবুর্গের চার দিকে পাথরের উঁচু দেওয়াল তৈরি করেছিলেন। নেপোলিয়ন ১৮০৯ সালে দেওয়ালের সেই রক্ষাকবচ ধ্বংস করে ভিয়েনার দখল নেন। দুর্গ প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেখানে নির্মিত হয় অনেকটা ব্রিটিশ ধাঁচের এই উদ্যান। বেশ কয়েকটি শ্বেতপাথরে তৈরি মূর্তির মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অস্ট্রিয়ান শিল্পী ভিক্টর টিগ্নার নির্মিত মোত্জার্ট-এর মূর্তি। ১৮৯৬ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। মূর্তির পাদদেশে একগুচ্ছ নগ্ন শিশুমূর্তি। ইউরোপীয় স্থাপত্যকলায় এটি গ্রিসের প্রেমের দেবতা কিউপিডের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

এর পরে গেলাম গ্রিক স্থাপত্যকলায় ১৮৭৪ সালে নির্মিত এখানকার পার্লামেন্ট ভবনে। পার্লামেন্ট চত্বরে রয়েছে কারুকার্যময় একটি ফোয়ারা। এর নামকরণ করা হয়েছে গ্রিক জ্ঞানের দেবী এথেনার নামে। ফোয়ারার মধ্যভাগে একটি থামের উপর দাঁড়িয়ে আছেন স্বর্ণ শিরস্ত্রাণ পরিহিত দেবী এথেনা। তাঁর বাঁ হাতে বল্লম এবং ডান হাতে গ্রিসের যুদ্ধজয়ের দেবী নাইক-এর মূর্তি। এথেনার পায়ের কাছে অস্ট্রিয়ার চার প্রধান নদীর কল্পিত মানব-মানবী রূপের যুগল মূর্তি। এই চার নদীর নাম দানিউব, ইন, এলব এবং ভ্লাতাভা।


বেলভেদিয়ার

পরের গন্তব্য বেলভেদিয়ার। যাওয়ার পথে চোখে পড়ল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত রাশিয়ান সৈনিকদের উদ্দেশে উত্সর্গীকৃত স্মৃতিসৌধ। ব্যারোক স্থাপত্যশিল্পের অভূতপূর্ব নিদর্শন এই বেলভেদিয়ার প্রাসাদ। প্রাসাদ প্রাঙ্গনে রয়েছে শ্বেতপাথরের অসংখ্য মূর্তি। তাদের মধ্যে রয়েছে বাদ্যযন্ত্র বাদনরত নারী, প্রেমিক যুগল, ঘোড়ায় চড়া যোদ্ধা প্রভৃতি। প্রাসাদের ভিতরে রয়েছে সংগ্রহশালা। গুস্তাভ ক্লিটের বিখ্যাত ছবি ‘দ্য কিস’ এই মিউজিয়ামেই সংরক্ষিত আছে।

অনেক ক্ষণ ঘোরা হয়ে গিয়েছে। তাই হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। ফিরতে ফিরতে রাত প্রায় ন’টা বেজে গেল। মজার কথা, তখনও সূর্যাস্ত হয়নি।

পরের দিন কনফারেন্সের শেষে উদ্যোক্তারা আমাদের নৈশাহারের ব্যবস্থা করেন ভিয়েনা টাউন হলে। সম্মেলনে আগত অতিথিদের নিয়ে যেতে গোটা একটা ট্রাম বুক করা হয়েছে। ভিয়েনা শহরে কলকাতার মতো ট্রাম চলে। বিকেলের নরম রোদ মাখা শহরের নানা বিচিত্র চলমান দৃশ্য উপভোগ করতে করতে মিনিট পনেরোর মধ্যে এসে পৌঁছলাম প্রাসাদসম টাউন হলে। গিয়ে শুনি, অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে আসবেন শহরের মেয়র। জীবনে কোনও দিন নিজের শহরের মেয়র তো দূরে থাক, তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীর প্রত্যক্ষ দর্শন লাভের সৌভাগ্য হয়নি কখনও। সেখানে কিনা ইউরোপীয় মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত একটি দেশের রাজধানী শহরের মেয়র এই অধমকে স্বাগত জানাবেন! এটা হজমোলা ছাড়া ঠিক হজম করা যায় না!


ভিয়েনা টাউন হল

টাউন হলের ভিতরে ঢুকলাম। রাজকীয় এই ভবন নির্মিত হয় ১৮৭২ সালে। গথিক স্থাপত্যকলার ঝকঝকে শ্বেতপাথরে নির্মিত বিশাল উচ্চতার সমান্তরাল মিনারের সারি দু’দিক থেকে ক্রমে উপরে উঠে এসে এক সময়ে একটি বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। মেঝেতে লাল রঙের সুদৃশ্য মহার্ঘ কার্পেট বিছানো। জানলায় নানা রঙের কাচে অদ্ভুত সুন্দর সব নকশা ফুটিয়ে তোলা। পড়ন্ত বিকেলের আলো সেই রং-বেরঙের কাচের মধ্যে ঢুকে পড়ে ভিতরের ঝাড়বাতির নরম হলুদ আলোর সঙ্গে মিশে আলোছায়ায় এক অদ্ভুত মায়াবী পরিবেশ তৈরি করেছে।

অতিথিদের নিয়ে যাওয়া হল বিশাল এক হল ঘরে। তার অন্য প্রান্তে একটি পিয়ানোর সামনে বসে এক ভদ্রলোক মোত্জার্ট-এর একের পর এক সুরলিপি বাজিয়ে চলেছেন। অপর প্রান্তে ঢালাও পানীয় ও খাদ্যের আয়োজন।

খাওয়াদাওয়ার পাট চুকিয়ে বেরোতে বেরোতে প্রায় মাঝরাত হয়ে গেল। কিছু বন্ধু ট্যাক্সি করে হোটেলে ফিরলেও আমি হেঁটে হেঁটেই ফিরলাম। নইলে রাতের ভিয়েনার মায়াবী যে রূপ ‘বিফোর সানরাইজ’-এ দেখেছিলাম সেটা আর চাক্ষুষ করা হত না! ভিয়েনার সেই নিশি-রূপ ভাষায় বর্ণনা করার ক্ষমতা বিজ্ঞানের এই ছাত্রের নেই।

বর্তমানে ডাবলিন সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণারত। কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে, প্রথমে বেঙ্গালুরু ও তার পর আয়ারল্যান্ডে বসবাসের ফলে প্রায় পাঁচ বছর ঘরছাড়া। গবেষণা সূত্রে দেশ-বিদেশ ভ্রমণের স্মৃতি একত্রিত করার প্রচেষ্টাতেই ভ্রমণ বিষয়ক প্রবন্ধ লেখার শুরু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE