কয়েক মাস পরেই আত্মীয়ের বিয়ে। সেখানে যাবেন বলে বিমানের টিকিট কাটা হয়ে গিয়েছে। কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু নিমন্ত্রণকর্তার নির্দেশ শুনে ঘাবড়ে গেলেন এক অতিথি। বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়ার খরচ দিতে হবে অতিথিদের। সে কথা আগে থেকেই অতিথিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমাজমাধ্যমে পুরো বিষয়টি লিখে জানিয়েছেন এক অতিথি। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
‘আর/ওয়েডিং’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক নেটাগরিক লিখে জানিয়েছেন যে, চলতি বছর অগস্ট মাসে তাঁর এক পরিচিতের বিয়ে। তাঁদের অধিকাংশ আত্মীয় থাকেন কানাডার ভ্যানকুভেরে। কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ইটালির ফ্লোরেন্সে। পাত্র-পাত্রী দু’জনেই ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ করতে চান বলেই এই সিদ্ধান্ত। তাই নিমন্ত্রণকর্তা সকল অতিথির জন্য বিমানের টিকিট কেটে রেখেছেন। এমনকি, ফ্লোরেন্সে গিয়ে থাকার খরচও নিমন্ত্রণকর্তার। কিন্তু খাওয়ার পয়সা নাকি অতিথিদের কাছ থেকে আদায় করছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
পোস্টে লেখা রয়েছে, অতিথিরা পৌঁছনোর পর তাঁদের জন্য আলাদা করে নৈশভোজ (ওয়েলকাম ডিনার)-এর আয়োজন করা হয়েছে। তবে তার জন্য অতিথিদের মাথাপিছু ৪০ ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৭৮৫ টাকা) খরচ করতে হবে। অতিথি লেখেন, ‘‘আমি এর আগে কখনও ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এ যাইনি। ফলে এমন নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত নই। আমি ভেবেছিলাম নবদম্পতিকে উপহার হিসাবে কিছু নগদ টাকা দেব। কিন্তু খাওয়ার জন্য আলাদা ভাবে টাকা দিতে হবে জানার পর আর এই অতিরিক্ত উপহার দিতে ইচ্ছা করছে না। আমি মানছি, নিমন্ত্রণকর্তার প্রচুর খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অতিথিদের নিমন্ত্রণ করে তাঁদের কাছ থেকে এ ভাবে খাওয়ার টাকা নেওয়া কি ঠিক?’’
অতিথির প্রশ্নের জবাবে এক জন নেটব্যবহারকারী তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘‘আপনি ওয়েলকাম ডিনার না খেয়ে সরাসরি মূল অনুষ্ঠানের খাওয়াদাওয়া সারবেন। সেখানে তো আপনার খরচ হবে না।’’ আবার এক জন লিখেছেন, ‘‘নিমন্ত্রণ যখন করেছেন, তখন অতিথি আপ্যায়ণের সকল দায়িত্ব পালন করা প্রয়োজন।’’