এখান দিয়েই ঘরে ঢোকে অভিযুক্তেরা, সন্দেহ তদন্তকারীদের। —ফাইল চিত্র।
সোনারপুর লেলিন নগরের গণধর্ষণের ও খুনের ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অমিত রায় নামে ওই ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার ভোরে দরমার ঘর থেকে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ওই কিশোরীকে গণ ধষর্ণের পর খুন করা হয়েছে বলে ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছে। সোমবার সকালে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই দিন গভীর রাতে অমিত রায় নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তকারীদের কথায়, রবিবার রাতে ওই কিশোরী ঘর থেকে কিছুটা দূরে কয়েক জন মদের আসর বসিয়েছিল। ওই আসরে ছিল অমিত। রাতে দরমার ঘরের দরজা বন্ধ করেই আলো জ্বেলে পড়াশোনা করছিল। দরজার পাশের বেড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দরমার দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। অমিতের বুকে ও পিঠের একাধিক জায়াগায় নখের আঁচড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। আত্মরক্ষার চেষ্টায় কেউ আঁচড়ালে যেমন ক্ষত হয়। তেমন ক্ষতই পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন
দরমার ঘরে কিশোরীর দেহ, ইঙ্গিত গণধর্ষণের
তদন্তকারীদের কথায়, অমিত নিয়মিত ওই এলাকায় মদের আসর বসায়। তাছাড়া অমিতের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলাদের নানা ভাবে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরীর পরিচিত কেউ ঘরে ঢুকেছিল। ওই দিন অমিতের গতিবিধির বিষয়ও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের কথায়, ওই ধষর্ণ খুনের ঘটনায় এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। এমনও হতে পারে এক ব্যক্তি নানা ভাবে যৌন হেনস্থা করেছে। যা একাধিক ব্যক্তির অত্যাচারের সমান। সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) সৈকত ঘোষ বলেন, ‘‘অমিতের বিরুদ্ধে কিছু নিদিষ্ট সূত্র ও তথ্য মিলেছে। ধৃতকে জেরা করে ওই ঘটনার আরও তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy