প্রতীকী ছবি।
অতিমারির মধ্যেই ভোট হবে বিহারে। শুক্রবার দুপুরে এই ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর অতিমারি পর্বে ভোট কেমন ভাবে হবে, বিহারবাসীরা কী ভাবে তাতে অংশ নেবেন বা ভোটকর্মীরা ফেস শিল্ড-বর্মবস্ত্র (পিপিই) পরে কী ভাবে বুথ সামলাবেন— তা হাতেকলমে দেখতে, বুঝতে যাচ্ছেন বঙ্গের আইএএস অফিসারেরা। ইতিমধ্যে তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদানপ্রদানও হয়েছে। বিহার ভোটে যে সব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বা ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে, তার ত্রুটি-বিচ্যুতি যাচাইও এ বার অনলাইনে করছেন বঙ্গের রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) দফতরের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ১৮ জন অভিজ্ঞ আইএএস-এর নামের তালিকা কমিশনে পাঠিয়েছে রাজ্য। তবে ওই সংখ্যার সংযোজন বা বিয়োজন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন সদনের কর্তারা। কয়েক দিনের মধ্যে পড়শি রাজ্যে পর্যবেক্ষক হিসেবে যাওয়া বঙ্গের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হবে। তার পরে তালিকা চূড়ান্ত হবে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় রাজ্যের তালিকায় হেরফের করে কমিশন। সে ক্ষেত্রে উঠে আসে রাজ্য আর কমিশনের মতান্তরের কথাই। তেমন পরিস্থিতি হলে ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি) থেকে সরাসরি অফিসারদের তালিকা নিয়ে নেয় কমিশন। এখনও পর্যন্ত বিহারে ভোট নিয়ে রাজ্যের পর্যবেক্ষক তালিকা নিয়ে কোনও ‘সমস্যা’ হয়নি বলে খবর।
করোনা আবহে ভোট প্রক্রিয়াতে অনলাইন মাধ্যমের ব্যবহার বাড়িয়েছে কমিশন। বিহার ভোটের ইভিএম ফার্স্ট লেভেল অব চেকিং (এফএলসি) অনলাইনেই করেছেন বঙ্গের সিইও দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা পরিদর্শক হিসেবে অনলাইন পরীক্ষার রিপোর্ট কমিশনকে পাঠিয়েছেন। তবে হাতেকলমে যা দ্রুত করা যায়, তা অনলাইনে সময়সাপেক্ষ। এমনই বলছেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। যদিও দিল্লির অশোকা রোডের আধিকারিকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে এক রাজ্যের আধিকারিকের অন্য রাজ্যে যাওয়া ঝুঁকির। সে কারণেই যে কাজগুলি অনলাইনে করা যায়, তা করা হয়েছে। ভোট পর্যবেক্ষণের কাজ সশরীরেই হবে।
পর্যবেক্ষকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানাচ্ছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy