সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলে। নিজস্ব চিত্র।
এগরা ও বজবজে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই বেআইনি বাজি উদ্ধারে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরেও পুলিশি অভিযানে মিলল অন্তত ২০০ কুইন্টাল বাজি। অভিযোগ, ওই বিপুল পরিমাণ বেআইনি ভাবে বাড়িতে মজুত করে রাখা হয়েছিল।
সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ ইছাপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পুলিশের তল্লাশি অভিযান চলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্র মারফত খবর মেলে, কাঠুরিয়া এলাকায় ইবাদত মণ্ডল নামে এক জনের বাড়িতে প্রচুর বাজি মজুত রয়েছে। সেই খবর পাওয়ামাত্রই বারাসতের এসডিপিওর নেতৃত্বে ইবাদতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় বেআইনি বাজি। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজি উদ্ধার হলেও ইবাদতের খোঁজ মেলেনি। তিনি পলাতক। তবে জাকির হোসেন নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল ১৬ মে। মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৯ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচ দিনের মাথায়, ২১ মে রবিবার কলকাতার অদূরে বজবজের একটি বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পর পর দু’জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ওই ঘটনার পরেই ব্যাপক তল্লাশি ও ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। রাস্তার দু’ধারে সারি সারি দোকান থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি বাজি ও বাজির মশলা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার কেজিরও বেশি বাজি উদ্ধার করেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। এ বার দত্তপুকুর থেকেও উদ্ধার হল প্রচুর বেআইনি ভাবে মজুত বাজি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy