থই-থই: দেগঙ্গার চৌরাশি হাইস্কুল। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়।
একদিনের বৃষ্টিতেই ক্লাস ঘরে জমে গিয়েছিল জল। সেই নোংরা জমা জলে গোড়ালি ডুবিয়ে, বেঞ্চিতে পা তুলে বসে ক্লাস করছিল দ্বাদশ শ্রেণির ২১০ জন ছেলেমেয়ে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় জল ক্রমশই বাড়তে থাকে। আপাতত ছুটি দিয়ে দিতে হয়েছে পড়ুয়াদের। সোমবার স্কুলে এসেও মাঝপথে ফিরে যেতে গিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। দেগঙ্গার চৌরাশি হাইস্কুলের ঘটনা।
এই অবস্থার জন্য নিকাশিনালাকে দায়ী করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এক বছর ধরে পঞ্চায়েত এবং বিডিওকে নিকাশি সমস্যার কথা জানিয়েও সমাধান মেলেনি। এমন বৃষ্টি আরও কয়েক দিন চলতে থাকলে টানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন।
সোমবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুল চত্বরে জমে রয়েছে নোংরা জল। নর্দমা না থাকায় সেই জল উঠোন ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে ক্লাসে। এ দিন সকালে প্রথমে জমা জলের উপরে বসেই শুরু হয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির পঠন-পাঠন। আজহারউদ্দিন নামে এক ছাত্র বলে, ‘‘ক্লাস রুমে ঢুকে দেখি জলে থই থই। কোনওক্রমে জমা জলে পা রেখেই চলছিল ক্লাস। শামিম ইসলাম নামে এক ছাত্রের প্রশ্ন, ‘‘নোংরা জলে পা চুলকাতে শুরু করে। জলের মধ্যে বসে ক্লাস করা যায়?’’ বাধ্য হয়েই ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে আসে পায়েল মণ্ডল, বিট্টু মল্লিকের মতো ছাত্রছাত্রীরা। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পঠনপাঠন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরশাদ আলি মোল্লা বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে একটি নিকাশি নালা সরকারি ভাবে তৈরি হয়েছে। তবে সেই জল কোথায় পড়বে, তা ঠিক না করাতেই এই বিপত্তি। স্কুলের ভিতরেই জমে যাচ্ছে জল।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা জানান হয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। বিডিও নিজে পরিদর্শনে এলেও এখনও সমস্যা মেটেনি। দেগঙ্গার বিডিও অনিন্দ্য ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy