খবর পেয়ে হাসনাবাদ থানার ওসির নেতৃত্বে উদ্ধারকারী একটি দল নদীতে নামে। আনা হয় রাজ্য পুলিশের উদ্ধারকারী দলকেও। বিএসএফের পক্ষে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও তল্লাশি করতে দেখা যায়।
পিঙ্কির ঠাকুমা কল্যাণী দেবনাথ পুলিশকে জানান, তাঁর নাতনি শরীরের ডান দিক অর্থাৎ ডান হাত ও পা ঠিক মতো নাড়াতে পারেন না। তা ছাড়া, মাঝে মধ্যে খিঁচুনিও হয়। ওই ভুটভুটির যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, পিঙ্কি ধারে বসেছিলেন। সম্ভবত অসুস্থ হয়ে কিংবা টাল সামলাতে না পেরে জলে পড়ে গিয়েছেন।
এই ঘটনার পরে হাসনাবাদ ফেরিঘাট-সহ বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন নদীতে নিত্য পারাপারকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এ প্রশাসনের পক্ষে অবশ্য জানানো হয়েছে, লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারের জন্য যাত্রীদের বলা হলেও প্রায় কেউই তাতে কান দেন না। যাত্রীদের একাংশের মতে, লাইফ জ্যাকেট দেওয়া-নেওয়া করতে সময় লাগে বলেই অনেকে রাজি হন না।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, যাত্রীরা যাতে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করেন, সে জন্য পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা চলছে। ভুটভুটিতেও যাতে কোনও ভাবেই ১৫ জনের বেশি যাত্রী তোলা না হয়, সে বিষয়েও সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেই নয়, বেশ কিছু দিন ধরেই এমন প্রচার চলছে।
তবে যাত্রী এবং মাঝিরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন। মাঝিদের বক্তব্য, নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত যাত্রী নিজেরাই জোর করে ওঠেন ভুটভুটিতে। বারণ করলেও শোনেন না। বিশেষ করে ট্রেন ধরার তাগিদ থাকা অফিসযাত্রীরাই নিয়ম ভাঙেন বেশি।
অন্য দিকে, যাত্রীদের দাবি, বাড়তি টাকার লোভে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভুটভুটিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। পুলিশের দাবি, এ দিন ভুটভুটিতে যাত্রীসংখ্যা কমই ছিল।