শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তাঁর শাশুড়ি ও দেওরকে গ্রেফতার করল। বুধবার সকালে গোবরডাঙা থানার পুলিশ স্থানীয় পায়রাগাছি ওরাংপাড়া থেকে রামা সিংহ ও বাপি সিংহকে ধরে। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে পায়রাগাছি এলাকার শ্রাবন্তী সিংহের (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় এলাকারই বাসিন্দা মিঠুনের। মৃতের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর নরেন্দ্র, শাশুড়ি ও দেওর শ্রাবন্তীর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। পণের জন্যেও চাপ দেওয়া হত। অভিযোগ, এর জেরেই ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন শ্রাবন্তী। তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই ২৮ জানুয়ারি শ্রাবন্তীর মৃত্যু হয়। ২৪ জানুয়ারিই মৃতের না অনিমা নাথ থানায় লিখিত অভিযোগ করে দাবি করেছিলেন, মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।
পুলিশ আগেই শ্বশুর নরেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছিল। নরেন্দ্র জেল হাজতে। পুলিশ জানিয়েছে, আরজিকর হাসপাতালে শ্রাবন্তীর মৃত্যুকালীন যে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল, তাতে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কারণে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যদিও স্বামী মিঠুনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তিনি করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy