Advertisement
১১ মে ২০২৪

দুর্নীতির অভিযোগ, দিনভর তালাবন্দি শিক্ষকেরা

প্রধান শিক্ষক-সহ চার শিক্ষককে ঘরে তালা-বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে মথুরাপুর ১ ব্লকের লালপুর পঞ্চায়েতের রানাঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু হয়।

চলছে বিক্ষোভ। ছবি: দিলীপ নস্কর।

চলছে বিক্ষোভ। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মথুরাপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০০:৪১
Share: Save:

প্রধান শিক্ষক-সহ চার শিক্ষককে ঘরে তালা-বন্ধ করে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। সোমবার সকাল ১১টা থেকে মথুরাপুর ১ ব্লকের লালপুর পঞ্চায়েতের রানাঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও শিক্ষকদের উদ্ধার করতে পারেনি। বিকেল সাড়ে ৫টায় যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

কিন্তু কেন বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামের মানুষ ও অভিভাবকেরা?

ওই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা শ’চারেক। মিড-ডে মিল রান্না করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বাচ্চাদের পোকাধরা চালের ভাত খাওয়ানো হচ্ছে। তরকারির মানও খারাপ। নুরসেনা বিবি নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘এত নিম্নমানের খাবার খেয়ে আমার বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কেউই এই খাবার আর খেতে পারছে না। অনেকবার প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি।’’

শুধু খাবারই নয়, আপত্তি আছে স্কুলের পোশাক নিয়েও। পোশাকের টাকা শিক্ষকেরা নয়ছয় করেছেন বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের গায়ে ইউনিফর্ম ঠিকমতো হচ্ছে না। দু’দিন পর পর তা ছিঁড়ে যাচ্ছে।

শিক্ষকেরা ঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না বলেও অভিযোগ। ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দুর্নীতির ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আবদুল রাজ্জাক হালদার-সহ আরও এক শিক্ষক জড়িত। রাজ্জাক হালদার অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা গ্রাম শিক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে জামার টেন্ডার দিয়েছিলাম। যারা টেন্ডার নিয়েছে, ভুলটা তাদের। আমাদের নয়। মিড-ডে মিলের খাবার সরকার থেকে পাঠায়। সেই চাল যদি খারাপ হয়, তা হলে আমাদের কিছু করার নেই।’’

রবিবার গ্রামে ঘেরাওয়ের কথা মাইকে প্রচার করা হয়েছিল। এ দিন বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন মুর্শিদ হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলের কোনও কিছুই নিয়ম মেনে হচ্ছে না।’’ দুই শিক্ষককে অপসারণের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিডিও সৌমেন মাইতি বলেন, ‘‘বিষয়গুলি স্কুল পরিদর্শকের দেখার কথা। উনি ছিলেন না দেখে আমি যুগ্ম বিডিওকে পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল পরিদর্শক যদি ব্যবস্থা না নেন, তা হলে বিষয়টি আমি দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE