রাস্তার ধারের বিদ্যুতের খুঁটিতে অনেক বাল্ব-টিউবই নিয়মিত ভেঙে যায় দত্তপুকুরের কুলবেড়িয়ায়। এলাকাবাসী বলছেন, “বাল্ব-টিউব ঠিক থাকলে তো রাতের কাজ-কারবারে বাধা পড়বে শ্যামলের! এলাকায় নানা অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালাতে ও আর ওর দলবলই তো ভাঙে লাইটগুলো!”
সপ্তাহ দুয়েক আগে কুলবেড়িয়ায় এই পথ-বাতি ভাঙা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পুরনো দুষ্কৃতী শ্যামল কর্মকার ও তার দলবলের যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, পরিবারের ধারণা, তারই জেরে খুন হয়ে গিয়েছেন কলেজ-ছাত্র সৌরভ চৌধুরী। একই মত স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশেরও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭-৯৮ সালে অপরাধ জগতে হাতেখড়ি বছর ছত্রিশ-সাঁইতিরিশের শ্যামলের। সেই সময় দত্তপুকুর এলাকার দাপুটে দুষ্কৃতী সমরেশ ব্রহ্মের শাগরেদ হয়ে ভয় দেখানো, তোলাবাজির মতো কাজে হাত পাকায় এই যুবক। পরে সমরেশ খুন হয়ে যেতে তার শূন্যস্থানে বসে পড়ে শ্যামল। চোলাইয়ের ভাটি এবং ঠেক চালানো, তোলাবাজি, তোলা না পেলে ব্যবসায়ীদের দোকানে হামলা করা, মহিলাদের বিরক্ত করা-সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মুখ খুলতে না চাওয়া স্থানীয় একাধিক লোকের অভিযোগ, কোমরে দেশি ৯ এমএম পিস্তল ঝুলিয়ে জনা আটেক সঙ্গীকে নিয়ে শ্যামল ঘুরে বেড়াত এলাকায়। তার সঙ্গে দেখা করতে দত্তপুকুর এলাকায় ঢোকা বহিরাগত দুষ্কৃতীর সংখ্যাও খুব কম নয় বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশের একটি সূত্র।