E-Paper

স্কুলের জমি দখলের নালিশ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরদ্ধে 

লক্ষ্মীপুল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া জমিতে রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরি করলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫০
এই নির্মাণ ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।

এই নির্মাণ ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।

স্কুল সংলগ্ন সরকারি জমিতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, স্কুলের জমি দখল করে কার্যালয় নির্মাণ করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শাহাবুদ্দিন সর্দার। দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুল গ্ৰামের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

লক্ষ্মীপুল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া জমিতে রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরি করলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে। নির্মাণের জন্য বালির স্তূপ জড়ো করা স্কুলের সামনে। ফলে পড়ুয়াদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের যাঁরা কার্যালয়টি তৈরি করছেন, তাঁদের দাবি, স্কুলের জমি দখল করা হয়নি। স্কুলের সীমানার বাইরে কার্যালয় তৈরি হচ্ছে।

শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন বলেন, “এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করিনি। তবে আমাকে বিডিও অফিস থেকে বলা হয়েছিল, নির্মীয়মাণ কার্যালয়ের ছবি পাঠাতে। আমি তা পাঠিয়েছি। জানিয়েছি, স্কুল ও দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে কতটা দূরত্ব রয়েছে।”

শাহাবুদ্দিনের দাবি, “স্কুলের জমিতে নয়, জেলা পরিষদের জমিতে পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে। জেলা পরিষদের ৩.৫ শতক জমি স্কুলের নামে রয়েছে। সম্পূর্ণ জমি আছে ৫ শতক। স্কুলের সীমানার বাইরের জমিতে রাতে বসার জন্য পার্টি অফিস করছি। এতে কারও কোনও সমস্যা হবে না।”

বিষয়টি ভাল চোখে দেখছেন না দলের অনেকে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ আরশাদুজ্জামান বলেন, “গায়ের জোরে এই কাজ করছেন পঞ্চায়েত সদস্য। ব্যবস্থা নেবে জেলা পরিষদ। দত্তপুকুর থানার পুলিশ কয়েক বার নিষেধ করে এসেছে। তা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সদস্য ওই কার্যালয় তৈরি করছেন।”

বিজেপির কোটরা-কদম্বগাছি মণ্ডল সভাপতি কালীপদ ঘোষের কটাক্ষ, “তৃণমূল তো এ রকমই করে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস হবে, সরকারি জমি দখল করে প্লটিং হবে। ওদের একেবারে উপর থেকে তলা পর্যন্ত এই জিনিস চলছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Dattapukur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy