E-Paper

আন্দোলনে যোগ দিয়ে শাস্তির মুখে শিক্ষিকা, অভিযোগ

১৩ জুলাই সাসপেন্ড হন ওই শিক্ষিকা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক জানান, কয়েক জন অভিভাবক ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলে ঠিক সময়ে না আসার অভিযোগ করে চিঠি দিলে তা যায় সংসদে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:১৭
An image of DA Protest

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তৃতীয় লিঙ্গের এক শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা নিয়ে বিতর্ক বেধেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিক্ষামহলে। মহেশতলা পশ্চিম চক্রের এক স্কুলের ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলনে যুক্ত হওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, ঠিক সময়ে স্কুলে হাজির না হওয়া-সহ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানিতে ডাকা হলেও আসেননি তিনি। তাই সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছে রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডও।


১৩ জুলাই সাসপেন্ড হন ওই শিক্ষিকা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক জানান, কয়েক জন অভিভাবক ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলে ঠিক সময়ে না আসার অভিযোগ করে চিঠি দিলে তা যায় সংসদে। অজিতের দাবি, ‘‘ওই শিক্ষিকা শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিন বার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। তৃতীয় নোটিসের লিখিত জবাব অযৌক্তিক ও কর্তৃপক্ষের কাছে অবমাননাকর। তার পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ যদিও শিক্ষিকার দাবি, ‘‘ছ’মাসে হাজিরার খাতায় লেট মার্ক নেই, ক্যাজ়ুয়াল লিভ নিইনি। লেট মার্ক থাকলেও সাসপেন্ড করার অধিকার ওঁর নেই। বড়জোর বেতন বন্ধ করতে পারেন।’’ সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলনে যোগ দেওয়া ও সংগঠনকে অর্থসাহায্য করায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘‘অজিত একইসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এবং জেলার একটি স্কুলের শিক্ষক। এটা সার্ভিস রুলের পরিপন্থী। নোটিসের জবাবে সেই প্রশ্ন তুলেছিলাম।’’ অজিতের দাবি, ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চের সভায় যাওয়ায় ওঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এই দাবি ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে দু’জায়গা থেকে বেতন নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন উনি। কিন্তু জানেনই না যে সরকারি কর্মীরা দু’জায়গা থেকে বেতন নিতে পারেন না।’’ রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চিঠি নিয়ে অজিত বলেন, ‘‘জেলাশাসকের কার্যালয় থেকে জানতে চাওয়া হয়। তার উত্তর দেওয়া হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Teacher Suspension DA Protest Controversy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy