বিক্ষোভ: ভাঙড়ের বামনঘাটায়। ছবি: সামসুল হুদা
গ্রামের স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার করা যাবে না বলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় ২ ব্লকের বামনঘাটা এলাকায়। কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে বিবাদের জেরে শনিবার খুনোখুনিও ঘটে গিয়েছে বীরভূমের পাড়ইয়ে।এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাটেও কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা নিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল
প্রশাসনের কর্তাদের।
ভাঙড়ের বামনঘাটা হাইস্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করার জন্য পরিদর্শনে যান প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় রটে যায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের গ্রামের ভিতরে জনবহুল এলাকায় ওই স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেন, যাতে প্রশাসনের লোকজন গ্রামে ঢুকে স্কুল পরিদর্শনে যেতে না পারেন। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছিয়ে যান প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি স্বরূপকান্তি পাহাড়ি। পুলিশ-প্রশাসন গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধি প্রদীপ মণ্ডল, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অমরেশ মণ্ডলও বোঝাতে ব্যর্থ হন। গ্রামবাসীদের বাধায় শেষ পর্যন্ত সকলে ফিরে আসেন।
তারপরে এ দিন ভাঙড়ের ওই এলাকায় কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা যাবে না বলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রশাসনের কর্তারা।শুধু তাই নয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ওই হাইস্কুলের গেটে তালা মেরে দেন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় ২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েত এলাকায় কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের কর্তাদের। ইতিমধ্যে তিনটি এলাকায় ৫০ শয্যা করে সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মতীর্থ বাজারে ও বামনঘাটা হাইস্কুলে দু’টি সেন্টার তৈরি করা হবে। সেইমতো এ দিন বামনঘাটা হাইস্কুলে পরিদর্শনে যান প্রশাসনের কর্তারা। তখনই গ্রামবাসীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিডিও বলেন, ‘‘কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আপাতত ওই এলাকায় বিকল্প কোনও জায়গায় কোয়রান্টিন সেন্টার চালু করা যায় কিনা, তা দেখা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy