নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা আছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে লাগাম দেওয়া গেল না বৃহস্পতিবারেও। তার ফলে আনাজ এবং মুদি দোকানের জিনিসপত্র কিনতে হল চড়া দামে। তবে অভিয়োগ পেলে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশাসন কোনও মূল্য বেঁধে না দেওয়ায় ধন্দে ক্রেতারাও। অভিযোগ, তারই সুয়োগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
বনগাঁ, হাবড়া, এবং অশোকনগর থানার পুলিশ এ দিন বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালায়। বনগাঁয় কার্টন প্রতি ডিমের দাম ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল এক ব্যবসায়ী। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তুলে যায়। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী প্রচুর ডিম মজুত করে কৃত্রিম ভাবে ডিমের অভাব তৈরি করে কালোবাজারি করছিল। বনগাঁ মহকুমাতেই ডিমের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসনাবাদের বাইলানি বাজারের আলুর দাম কেজিতে ৫টাকা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দু’দিন আগেও এক কেজি নতুন পেঁয়াজ ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এ দিন তা বিকিয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে চালের দাম বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। নিম্নবিত্তেরা মোটা চালই কেনেন। সেই চালের দাম গত কয়েক দিনে সব থেকে বেশি বেড়েছে বলে অভিযোগ। কেজিতে কোথাও ১০ তো কোথাও ১৫ টাকা বেড়েছে। তবে কয়েকটা জায়গায় স্থানীয় আনাজ বাইরে যাওয়ার সুযোগ কমতে কিছু কিছু আনাজের দাম কমেছে। পটল এবং ঢেঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। গত কয়েক দিনে বসিরহাটের বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েছিল। ফলে দামে কিছুটা রাশ পড়েছিল। বৃহস্পতিবার বাজারে রটে যায়, সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে পুলিশ কাউকে মারতে পারবে না। প্রয়োজনে পথে নামা ক্রেতা এবং অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বোঝাবে। সেই নির্দেশিকার বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এ দিন বসিরহাটের বাজারগুলিতে পুলিশকে অভিযান চালাতেও দেখা যায়নি। গত কয়েক দিনে পুলিশের অভিজ্ঞতাও ভাল নয়। বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগে কারবারিদের পাকড়াও করে তুলে আনলেও রাজনৈতিক নেতাদের কথা শুনে তাঁদের ছেড়েও দিতে হয়েছে।